ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

১৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৫ সফর ১৪৪৭

শান্তি আলোচনা: মালয়েশিয়া যাচ্ছেন থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার নেতারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১২:৫০, ২৮ জুলাই ২০২৫

শান্তি আলোচনা: মালয়েশিয়া যাচ্ছেন থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার নেতারা

ছবি: সংগৃহীত

প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘাত বন্ধ করতে ও অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছাতে মালয়েশিয়ায় আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শীর্ষ নেতারা।

সোমবারের (২৮ জুলাই) এ আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

ব্যাংকক ও নম পেনের অনুরোধে এ শান্তি আলোচনায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সভাপতিত্ব করবেন। সংবাদ সংস্থা বারনামার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

থাইল্যান্ডের সরকার বলেছে, তারা আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের চেয়ারের দায়িত্বে থাকা মালয়েশিয়ার আয়োজিত আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছে। অন্যদিকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট বলেন, আলোচনার সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, সঙ্গে চীনও থাকছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, শান্তি প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার দুই সরকারপ্রধানই বিরোধ মেটাতে চান।

যত দ্রুত সম্ভব এই সংঘাতের শেষ দেখতে চাই আমরা। শান্তি প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এখন মালয়েশিয়ার মাটিতে আছেন, রবিবার দেওয়া বিবৃতিতে এমনটাই বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও।

একইদিন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহামদ হাসান সংবাদ সংস্থা বারনামাকে জানান, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে সোমবার সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ায় যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ বেশ পুরনো। চলতি বছর মে-র শেষদিকে তেমনই এক সংঘর্ষে কম্বোডিয়ার এক সেনা নিহত হওয়ার পর ব্যাংকক ও কম্বোডিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। দুই দেশই সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র জড়ো করতে শুরু করে।

দেশদুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে ফাটলও এতই চওড়া হয় যে এর প্রভাবে থাইল্যান্ডের নড়বড়ে জোট সরকার ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। উত্তেজনার এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার শুরু হয় সীমান্তজুড়ে পাল্টাপাল্টি হামলা, পরে তা এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র লড়াইয়ে রূপ নেয়।

প্রতিবেশী এ দুই দেশের সংঘাত এরই মধ্যে ৩০-এর অধিক প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, যার মধ্যে বেসামরিকই ২০ জনের বেশি। দুই দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘাত বেধে যাওয়ার পরপরই মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম দুই দেশের মধ্যে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানান এবং এ নিয়ে আলোচনায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনও আলোচনায় সহায়তার প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়।

থাইল্যান্ড এতদিন বলে আসছিল, তারা অস্ত্রবিরতির পক্ষে নীতিগতভাবে একমত তবে আলোচনা হতে হবে দ্বিপাক্ষিক। অন্যদিকে কম্বোডিয়া আলোচনায় আন্তর্জাতিক মহলের সম্পৃক্ততা চাইছিল।

ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন