ঢাকা, শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫

২৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৩ সফর ১৪৪৭

যুক্তরাজ্যের গৃহহীনবিষয়ক মন্ত্রীর পদ ছাড়লেন রুশনারা আলী

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩:০১, ৮ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৩:০৫, ৮ আগস্ট ২০২৫

যুক্তরাজ্যের গৃহহীনবিষয়ক মন্ত্রীর পদ ছাড়লেন রুশনারা আলী

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের গৃহহীনবিষয়ক মন্ত্রী (হোমলেসনেস মিনিস্টার) পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সংসদ সদস্য রুশনারা আলী। নিজ মালিকানাধীন একটি টাউনহাউস থেকে ভাড়াটেদের উচ্ছেদ করে ভাড়া একলাফে ৭০০ পাউন্ড বাড়ানোর পর নতুন ভাড়াটেদের কাছে ভাড়া দেওয়ার ঘটনায় তিনি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিট তার পদত্যাগের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে।

রুশনারা আলী যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে নির্বাচিত প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি। তিনি ২০১০ সাল থেকে টানা পাঁচবার লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার বেথনালগ্রিন ও স্টেপনি আসন থেকে নির্বাচিত হচ্ছেন। গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে আবারও জয়ী হওয়ার পর লেবার সরকার তাকে গৃহায়ণ, কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি পদে নিয়োগ দেয়। এই পদটি মূলত যুক্তরাজ্যের গৃহহীনবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব হিসেবে পরিচিত।

সিলেটে জন্ম নেওয়া রুশনারা সাত বছর বয়সে পরিবারসহ যুক্তরাজ্যে অভিবাসন নেন। পরবর্তীতে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট জনস কলেজ থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

তার মালিকানাধীন পূর্ব লন্ডনের বো এলাকায় অবস্থিত টাউনহাউসটি মাসিক ৩ হাজার ৩০০ পাউন্ড ভাড়ায় চারজন ভাড়াটেকে দেওয়া হয়েছিল। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত নভেম্বর মাসে তাদের চার মাসের নোটিশ দিয়ে বাসা ছাড়তে বলা হয়। পরে একই বাড়ি নতুন ভাড়াটেদের জন্য মাসিক ৪ হাজার পাউন্ড ভাড়ায় পুনরায় তালিকাভুক্ত করা হয়। সমালোচকরা প্রশ্ন তোলেন, গৃহহীনদের কল্যাণের দায়িত্বে থাকা একজন মন্ত্রী নিজে ভাড়াটেদের উচ্ছেদ ও ভাড়া বৃদ্ধির মাধ্যমে নৈতিকতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক আচরণ করেছেন।

এই বিতর্কের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো পদত্যাগপত্রে রুশনারা লেখেন, সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী কাজের পথে আমার অবস্থান যেন কোনো বিভ্রান্তির কারণ না হয়, সে জন্য আমি এই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পদত্যাগ যুক্তরাজ্যে রাজনীতিবিদদের ব্যক্তিগত আচরণ ও নৈতিকতার বিষয়ে চলমান আলোচনাকে আরো তীব্র করবে। বিশেষ করে আবাসন সংকট ও ভাড়া বৃদ্ধির চাপের সময় একজন গৃহহীনবিষয়ক মন্ত্রীর এমন ঘটনায় জনআস্থায় বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে

আরও পড়ুন