শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:২৫, ৮ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৩৪, ৮ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
মূল পর্যবেক্ষণসমূহ
মব জাস্টিস বেড়েছে: আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতায় সাধারণ মানুষ নিজেরাই শাস্তি দিতে উদ্যোগী হচ্ছে। রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সামাজিক বিভাজনের কারণে গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে, যেখানে নিরপরাধ মানুষও প্রাণ হারাচ্ছে।
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা: ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ হচ্ছে। অপরাধীদের শাস্তি না হওয়ায় সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভীতি বাড়ছে।
নারীর ওপর কাঠামোগত সহিংসতা: শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ, পারিবারিক সহিংসতা থেকে শুরু করে পোশাক বা মতপ্রকাশের কারণে অপমান ও সামাজিক বয়কট এখন নিয়মিত ঘটনা।
শিক্ষাঙ্গনে দমনপীড়ন: প্রতিবাদ বা মতপ্রকাশের কারণে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার, হুমকি ও হয়রানির ঘটনা ঘটছে, যা শিক্ষার অধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আঘাত।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকটে: সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার, সংবাদপত্র বন্ধ, সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধের হুমকি ও সাইবার হয়রানি অব্যাহত।
ইতিবাচক দিক
আসক সরকারের গুম প্রতিরোধে কিছু উদ্যোগকে আশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেছে, যেমন—আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ কনভেনশনে সই এবং ‘গুম কমিশন’ গঠন। তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পুনর্গঠিত না হওয়ায় দায়বদ্ধতার ঘাটতি রয়ে গেছে।
নির্বাচনী প্রসঙ্গ
সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণাকে আসক স্বাগত জানিয়েছে এবং এটিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরির সুযোগ হিসেবে দেখেছে।
আসক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে—বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম বন্ধ; সংখ্যালঘু ও নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত; গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা; প্রতিটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা।
এই বিবৃতি মূলত সরকারের প্রতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় দায়বদ্ধতা প্রদর্শনের আহ্বান হিসেবে এসেছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে