ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

২২ শ্রাবণ ১৪৩২, ১১ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম

Scroll
আ.লীগ কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ: মেজর সাদিকের স্ত্রী আটক
Scroll
রোজার আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে সিইসিকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি
Scroll
নারী ফুটবল: সাগরিকার জোড়া গোলে জয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই শুরু বাংলাদেশের
Scroll
নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা
Scroll
তফসিলের আগে এসপি-ওসিদের লটারির মাধ্যমে বদলি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Scroll
হাসনাত-সারজিস-জারাসহ ৫ নেতাকে শোকজ দিল এনসিপি
Scroll
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে: সিইসি
Scroll
তফসিল দেওয়া হবে ভোটের দুই মাস আগে: সিইসি
Scroll
গত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের তথ্য চেয়েছে ইসি
Scroll
বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যায় ৩০ আসামির বিচার শুরু
Scroll
আজ ২২ শ্রাবণ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৮তম প্রয়াণবার্ষিকী
Scroll
হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা হামলার ৮০ বছর পূর্তি আজ

রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১:৩৭, ৬ আগস্ট ২০২৫

রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: পিআইডি

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রোজা শুরুর আগেই আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর প্রেরিত এক আনুষ্ঠানিক চিঠিতে এই আহ্বান জানানো হয়। এর মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াগত আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো।

প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া স্বাক্ষরিত পত্রে নির্বাচন কমিশনকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর’ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

এর আগে গত ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়ে দিয়েছিলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে, রমজান শুরুর আগেই নির্বাচন আয়োজন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। সেই ভাষণে তিনি নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। আজকের চিঠি সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের অংশ।

চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘বিগত পনেরো বছরে নাগরিকেরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারার অভিজ্ঞতা বহন করেছেন। সেই প্রেক্ষাপটে আসন্ন নির্বাচন যেন মহাআনন্দের গণতান্ত্রিক উৎসবে পরিণত হয়, সেদিকেই গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’

এ ছাড়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের দিনকে ‘শান্তি-শৃঙ্খলা, সৌহার্দ্য, আন্তরিকতা ও সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতিতে স্মরণীয়’ করে তুলতে নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। সেই প্রত্যাশার পুনরুল্লেখ রয়েছে চিঠিতেও।

চিঠিতে নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে যুগোপযোগী প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার এবং নির্বাচন কমিশনের সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতায় সরকারের সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

সবশেষে, ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে আবারও অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে দেশের ভোটাররা রোজার আগেই একটি নিরপেক্ষ ও আনন্দঘন নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন