শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮:২৩, ২ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৩০, ২ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
৫০ বছর আগে হেনরি কিসিঞ্জারের পর আর কাউকে ওই দুই পদে একসঙ্গে দেখা যায়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওয়ালৎসকে কার্যত পদত্যাগ করতে বাধ্য করার পর জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিযুক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার (১ মে) এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্পের অভ্যন্তরীণ বলয় বড় ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন অনেকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, জাতিসংঘে পরবর্তী মার্কিন দূত হিসেবে ওয়ালৎসকে মনোনীত করবেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের জাতীর স্বার্থকে সর্বাগ্রে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন তিনি (ওয়ালৎস)।
মাইক ওয়ালৎসকে যে ট্রাম্প দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেবেন, সে ইঙ্গিত বৃহস্পতিবারই দিয়েছিল কয়েকটি সূত্র। আর রুবিওর আগে সবশেষ একসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। সেটি সত্তরের দশকের ঘটনা।
ওয়ালৎসের পদ শঙ্কায় পড়ে যায় তখন, যখন তিনি একটি নিরাপত্তাসংক্রান্ত বার্তার গ্রুপ চ্যাটে ভুলক্রমে একজন সাংবাদিককে যুক্ত করেন। যদিও তখন প্রেসিডেন্ট তাকে বরখাস্ত করেননি।
এদিকে মাইক ওয়ালৎসের সহকারী অ্যালেক্স ওং–ও তার দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চাচ্ছেন। দুটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। অ্যালেক্স ওং একজন এশিয়া বিশেষজ্ঞ। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি পররাষ্ট্র দপ্তরের উত্তর কোরিয়া–সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন।
ওয়ালৎস ছিলেন সাবেক মার্কিন কংগ্রেস সদস্য। তিনি ২০১৯ সাল থেকে ফ্লোরিডার ষষ্ঠ ডিস্ট্রিক্টের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। তিনি ২০২৪ সালে তার আসনে পুনঃনির্বাচিত হন। ট্রাম্প প্রশাসনে যোগ দিতে জানুয়ারিতে তিনি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন। এরও আগে তিনি বিশেষ বাহিনীর শাখা গ্রিন বেরেট হিসেবে মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স অবশ্য জানিয়েছেন, মাইক ওয়ালৎসকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত হিসেবে নিয়োগ করে তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের নিন্দাও করেন তিনি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ