শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:১৪, ১ মে ২০২৫
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আইএসআই প্রধানের পদের দায়িত্ব পালন করছেন আসিম। এবার তাঁকে আরেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হল। এর আগে আসিম পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল সদর দপ্তরে অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়-সহ নানা সামরিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে তদারকি করতেন। অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে তাঁর আমলের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারি। এবং এর জেরে ইমরানের সমর্থক ও দলীয় কর্মীদের গণ বিক্ষোভ।
এছাড়া আসিম মালিক বেলুচিস্তান এবং দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের মতো পাকিস্তানের স্পর্শকাতর প্রদেশগুলোরও নেতৃত্বে ছিলেন। উভয় অঞ্চলেই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি ছিল। পেহেলগাম কাণ্ডের পর এই অফিসারকেই এবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। দিন দুয়েক আগেই পাকিস্তানের সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লা তাহার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় সেনা অভিযান শুরু করতে পারে ভারত। তারপরই শুরু হয়েছে, তাহলে কি যুদ্ধ আসন্ন?
গত ২২ এপ্রিল নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটে যায় পেহেলগামের বৈসরন ভ্যালিতে। বেছে বেছে হিন্দু পরিচয় জেনে পর্যটকদের হত্যা করে সেনার পোশাকে আসা জঙ্গি। ২৫ পর্যটক ও এক স্থানীয় যুবক মিলিয়ে মতো ২৬ জন প্রাণ হারান। এই হামলায় পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্করের হাত দেখছে দিল্লি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বদলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারত। সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি বাতিল-সহ একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। পালটা শিমলা চুক্তি বাতিল করেছে পাকিস্তান।
এদিকে, আগামী দিনের রণকৌশল স্থির করতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহানের সঙ্গে প্রতিনিয়ত বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ৯ মে মস্কোয় ‘ভিক্টরি ডে’ সেলিব্রেশনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু এই সফরও বাতিল করে দিয়েছেন তিনি। ফলে যুদ্ধের জল্পনা ক্রমশই জোরাল হবে।