শিরোনাম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫:৫৯, ২ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৬:৫৪, ২ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
বিহারের এ ঘটনায় তদন্তে নেমেছে ভারতের মানবাধিকার কমিশন। ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন (এনএইচআরসি) এক বিবৃতিতে বলেছে, মরা সাপটি সরিয়ে ফেলার পরও রাঁধুনি ওই খাবার পরিবেশন করেন।
স্থানীয় একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় এ রাজ্যটির মোকামা শহরে এক সরকারি স্কুলের মিড ডে মিলে ‘মরা সাপ’ পাওয়া যায়। সেদিন প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী স্কুলটির দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনএইচআরসির বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়া শুরু করলে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা একটি সড়ক আটকে বিক্ষোভও দেখায়।
এনএইচআরসি বলেছে, “কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে, যদি সত্যি হয়, তাহলে এটি শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর ঘটনা” ।
ভারতীয় গণমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানায়, মেকরা গ্রামের উপক্রমিত মধ্য বিদ্যালয়ে যেদিন মিড ডে মিলে মরা সাপ পাওয়া যায়, সেদিন দুপুরের খাবার খাওয়ার পর অনেক শিক্ষার্থীই মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাবের কথা জানায়।
গ্রামবাসী ও প্রত্যাক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রান্নার সময় একটি সাপ খাবারের মধ্যে পড়ে বলে শুনতে পেয়েছেন তারা। সাপটি সরিয়ে ফেলা হয় এবং পরে ওই খা্বারই শিক্ষার্থীদের খেতে দেওয়া হয়।
এরপর একাধিক শিক্ষার্থী বমি করা শুরু করলে হুলুস্থুল বেধে যায়। ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা পরে এনএইচ৩১ মহাসড়ক অবরোধ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। পরে দুই ডজনের বেশি শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভারতে প্রথম এ মিড ডে মিল চালু হয় ১৯২৫ সালে, তৎকালীন মাদ্রাজে (এখনকার চেন্নাইয়)। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্কুলে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চালু হয় এই কর্মসূচি।