ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৭ মুহররম ১৪৪৭

শিরোনাম

Scroll
ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মামলার রায় আজ
Scroll
বান্দরবানের রুমায় দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের কমান্ডারসহ দুই সদস্য নিহত
Scroll
সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার
Scroll
চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে
Scroll
মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে আরো ৪৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
Scroll
কুমিল্লার মুরাদনগরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা
Scroll
পদত্যাগপত্র জমা দিলেন শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা পরিচালক চিত্রশিল্পী ও শিল্প সমালোচক মোস্তফা জামান
Scroll
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ৬৫ যাত্রী নিয়ে ফেরিডুবি, নিখোঁজ ৪৩

মানবিক ত্রাণকেন্দ্রেই রক্তপাত, ৩০০ জনকে হত্যা করলো ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬:১৩, ৩ জুলাই ২০২৫

মানবিক ত্রাণকেন্দ্রেই রক্তপাত, ৩০০ জনকে হত্যা করলো ইসরায়েল

যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ চলার মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে ৩০০-র বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, হামাসশাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা গেছে, এই সময়ের মধ্যে অন্তত ২৬টি পৃথক গণহত্যা চালিয়েছে আইডিএফ।

শুধু বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন ৭৩ জন। নিহতদের মধ্যে ৩৩ জন ছিলেন বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ)-এর ত্রাণ সংগ্রহ করতে আসা ফিলিস্তিনি। জিএইচএফের কার্যক্রম নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বিতর্ক থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সরাসরি সহায়তায় সংস্থাটি গাজায় ত্রাণ বিতরণ করছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যে দেখা গেছে, শুধু ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রই নয়, গাজাজুড়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, শরণার্থীশিবির, এমনকি স্কুলেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। আল-মাওয়াসির শরণার্থীশিবিরে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের অস্থায়ী তাবুতে হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। একইদিনে মোস্তাফা হাফেজ স্কুলে চালানো বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১১ জন।

দেইর আল-বালাহ শহর থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজজুম জানিয়েছেন, খাদ্য সংগ্রহ করতে আসা সাধারণ মানুষের ওপর নতুন করে গুলিবর্ষণ শুরু করেছে জিএইচএফের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মার্কিন ঠিকাদাররা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-এর বরাতে জানা যায়, এসব নিরাপত্তাকর্মীরা শুধু ভারী অস্ত্রেই সজ্জিত নন, তারা পাচ্ছেন অবাধ স্বাধীনতা। তাদের মধ্যে অনেকে প্রশিক্ষণহীন, যাচাই-বাছাই ছাড়াই নিয়োগপ্রাপ্ত, এমন তথ্য দিয়েছেন জিএইচএফের দুই মার্কিন সাব-কন্ট্রাক্টর।

অবশেষে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিক্রিয়াও এসেছে। অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ ১৩০টির বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা এক যৌথ বিবৃতিতে জিএইচএফের কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সংস্থার মাধ্যমে গাজায় মানবিক সহায়তার আড়ালে ‘ক্ষুধাকে অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

তাদের অভিযোগ অনুযায়ী, গত মে মাসে জিএইচএফের কার্যক্রম শুরুর পর থেকে শুধু ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬০০-র বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন প্রায় ৪ হাজার জন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৬৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহতের সংখ্যা পেরিয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার। যুদ্ধবিরতির আলোচনা যেখানে চলছে, সেখানে বাস্তবতা যেন তার একেবারে বিপরীত চিত্র তুলে ধরছে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ

আরও পড়ুন