শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:৪০, ১ জুলাই ২০২৫
সূত্রটি আরও জানায়, ইরানের হাতে এখনো রয়েছে বহু নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলো ইসরায়েলের আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও প্রতিহত করতে পারবে না। “ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থার কাঠামোগত দুর্বলতা আমরা শনাক্ত করেছি। পরবর্তী যুদ্ধে তারই সদ্ব্যবহার হবে,”—বলে মন্তব্য করে সূত্রটি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েল দাবি করে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এরপরই ইসরায়েল একযোগে ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এসব হামলায় বহু বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক রিপোর্টে উল্লেখ করেছে।
২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের নাতানজ ও ফরদো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রসহ তিনটি স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পাল্টা জবাবে ইরান কামিকাজে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ইসরায়েল ও কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত হানে।
এই টানা ১২ দিনের সংঘাত থামে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে, যা এখন পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে।
আরটি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানি সূত্রটি দাবি করে, সাম্প্রতিক উত্তেজনায় দেশটির জনগণ ও প্রবাসীদের কাছ থেকে সরকার অভূতপূর্ব সামাজিক সমর্থন পেয়েছে। “এটা শুধু সরকার বা সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ নয়—এটি পুরো জাতির লড়াই,”—বলে মন্তব্য করে ওই কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, “আমরা জানি, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে থাকবে। কিন্তু আমরা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী সাম্প্রতিক হামলাগুলো প্রসঙ্গে বলেন, তেহরানের সামরিক জবাবে ইসরায়েলি রাষ্ট্র কার্যত ‘অকার্যকর ও বিচ্ছিন্ন’ হয়ে পড়েছিল। তার ভাষ্য, “যদি যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ না করত, তবে জায়নিস্ট শাসন ধ্বংস হয়ে যেতো।”
অন্যদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানকে প্রতিরোধ করতে ইসরায়েল আরও পদক্ষেপ নিতে পারে। একইসঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইরান যদি পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে থাকে, তবে ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হামলা চালানো হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধবিরতি আপাতত স্থিতিশীলতা নিয়ে এলেও পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত রয়েছে। পরবর্তী কোনো আক্রমণই পুরো অঞ্চলজুড়ে যুদ্ধের বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ