শিরোনাম
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:২৬, ৩ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৪:২৭, ৩ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) কুমিল্লার আমলি আদালত-১১-এর বিচারক মমিনুল হক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিরা হলেন, উপজেলার বাহেরচর গ্রামের মোহাম্মদ আলী সুমন, রমজান আলী, মো. অনিক ও মো. আরিফ।
মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রিমান্ডপ্রাপ্ত সুমন ছাত্রলীগের মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সভাপতি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, মুরাদনগরের ঘটনায় করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ মামলায় গ্রেপ্তার চারজনের সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক মমিনুল হক প্রত্যেক আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে বাকি অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
গত সোমবার ওই চার আসামির সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে কুমিল্লা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুল হকের আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, রবিবার বিকালে মুরাদনগর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ওই চারজনের নামে মামলা করা হয়। সোমবার বিকালে তাদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিচারক রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন আজ বৃহস্পতিবার।
পুলিশ জানায়, ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের একটি গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তি আটক ও পিটুনির শিকার হন। পরে ফজর আলীকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন ভুক্তভোগী নারীর ভিডিওধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৭ জুন) মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এরপর অভিযানে নেমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে রবিবার (২৯ জুন) বিকালে মোহাম্মদ আলী সুমন ও তার তিন সহযোগীসহ মোট চার জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মুরাদনগর থানায় পৃথক একটি মামলা করেন ওই নারী।
ওইদিন সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তাদের কুমিল্লা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মোমিনুল ইসলাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ