শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:৪৩, ৩ জুলাই ২০২৫
প্রতিটি মাসেই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে মার্চে। ওই মাসে ৩৯টি ঘটনায় প্রাণ গেছে ১৩ জনের, আহত হয়েছেন ৯৬ জন।
জানুয়ারিতে ২১টি ঘটনায় ১২ জন নিহত হন, আহত হন ৩৮ জন। ফেব্রুয়ারিতে নিহত ৮ জন, আহত ৩৪ জন। এপ্রিলেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ছিল—২৭টি ঘটনায় নিহত ১০ ও আহত ৫৩ জন। মে মাসে ৩৬টি ঘটনায় ৯ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ৬৮ জন।
এই পরিসংখ্যানকে কেন্দ্র করে সমাজের বিভিন্ন মহলে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো একে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রসহ একাধিক সংগঠন বলছে, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এই প্রবণতা বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে উৎসাহ দিচ্ছে।
সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য দাবি করছেন, অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর বলেন, “যারা এসব ঘটনায় জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল মব সহিংসতার ঘটনায় সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলছে, একটি মহল পরিকল্পিতভাবে এসব ঘটনা ঘটিয়ে ‘মব জাস্টিস’-এর নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
মানবাধিকার কর্মীদের ভাষায়, সমাজে যদি আইনের শাসন দুর্বল হয়ে পড়ে, তাহলে মব মানসিকতা বাড়তে থাকবে—যার ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে। তারা বলছেন, মব সহিংসতার বিরুদ্ধে সরকারকে আরও কঠোর এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ