শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:০৪, ৩ জুলাই ২০২৫
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নীতিমালার কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও এটি মূলত বড় করপোরেট স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়। এতে স্থানীয় প্রযুক্তি খাত ও সাধারণ ব্যবহারকারীদের দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
ফখরুল আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে তড়িঘড়ি করে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতের নীতিমালা চূড়ান্ত করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নীতিমালা তখনই যৌক্তিক হয়, যখন তা আর্থিক ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ করে এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে তৈরি করা হয়।
বিএনপির অভিযোগ, প্রস্তাবিত নীতিমালায় একদিকে যেমন বাজারে বড় কোম্পানিগুলোর আধিপত্যের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা কোণঠাসা হয়ে পড়বেন। এতে স্থানীয় পর্যায়ের ডিজিটাল উদ্যোগ ব্যাহত হতে পারে।
খসড়ার আরেকটি দুর্বলতা হিসেবে বিএনপি দেখছে বিদেশি মালিকানা ও ক্রস-ওনারশিপ সংক্রান্ত অস্পষ্টতা। এছাড়া লাইসেন্স ফি ও শর্তাবলিও অনির্ধারিত রাখা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই নীতিমালা কার্যকর করার আগে তা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা, অংশগ্রহণমূলক সংলাপ এবং প্রভাব বিশ্লেষণ অত্যন্ত জরুরি। না হলে এই খাতটি অসম প্রতিযোগিতার ফাঁদে পড়বে, যা ডিজিটাল বৈষম্য আরও বাড়িয়ে দেবে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির নামে যদি বড় করপোরেট স্বার্থকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়, তাহলে সাধারণ জনগণ ও দেশীয় প্রযুক্তি খাত দীর্ঘমেয়াদে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানও উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ