শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:০২, ২ জুলাই ২০২৫
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী তাকে ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাকরি থেকে বরখাস্তকরণ গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তাপসী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে লিখেছিলেন:
‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
শুধু এতেই থেমে থাকেননি তিনি। শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে একাধিক বিতর্কিত পোস্ট দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠে।
২০২৩ সালের ৬ অক্টোবর তাকে প্রথমে ওএসডি করা হয় এবং পরদিন সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা শুরু হয়। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে তিনি নিরাপত্তার কথা বলে ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ না নিয়ে লিখিতভাবে প্রতিক্রিয়া জানান। তার জবাব অগ্রহণযোগ্য হওয়ায় একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তী পর্যালোচনায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনও ওই সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দেয় এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তা অনুমোদিত হয়।
ফলে তাপসী তাবাসসুমকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে, যা সর্বোচ্চ প্রশাসনিক শাস্তির একটি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ