ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৭ মুহররম ১৪৪৭

শিরোনাম

Scroll
ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মামলার রায় আজ
Scroll
বান্দরবানের রুমায় দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের কমান্ডারসহ দুই সদস্য নিহত
Scroll
সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার
Scroll
চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে
Scroll
মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে আরো ৪৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
Scroll
কুমিল্লার মুরাদনগরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা
Scroll
পদত্যাগপত্র জমা দিলেন শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা পরিচালক চিত্রশিল্পী ও শিল্প সমালোচক মোস্তফা জামান
Scroll
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ৬৫ যাত্রী নিয়ে ফেরিডুবি, নিখোঁজ ৪৩

শহীদ জাহিদের মায়ের অভিযোগ

শতবার কল দিয়েও সারজিস-হাসনাতকে পাওয়া যায়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯:০২, ১ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৯:০৯, ১ জুলাই ২০২৫

শতবার কল দিয়েও সারজিস-হাসনাতকে পাওয়া যায়নি

‘জুলাই অভ্যুত্থানে’ গুলিতে নিহত কিশোর শহীদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদের পরিবারের খোঁজ কেউ নেয়নি বলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করেছেন তার মা ফাতেমা তুজ জোহরা। মঙ্গলবার বিকেলে চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় আবেগঘন ভাষণে তিনি বলেন, “আমার ছেলের রক্তের বিনিময়ে যারা ক্ষমতায় এলো, তারা একবারও আমাদের খোঁজ নেয়নি। উপদেষ্টা পরিষদ, অন্তর্বর্তী সরকার—কেউ না। আমরা শতবার ফোন করেছি সারজিস আলম আর হাসনাত আব্দুল্লাহকে, কিন্তু তারা রিসিভ করেননি।”

আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল: ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, “আমার বড় ছেলে আবদুল্লাহর বয়স ছিল ১৭। সে ৫ আগস্ট বিমানবন্দর এলাকায় গুলিতে শহীদ হয়। ১৪ দিনের মাথায় ছোট ছেলের ক্যানসার ধরা পড়ে। আর ১৮ মে আমার স্বামী ব্রেন স্ট্রোকে মারা যান। এখন আমার ছোট ছেলে হাসপাতালে। আগামী শুক্রবার তার অপারেশন। একমাত্র ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ই আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই দুঃসময়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আমাদের চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে, পাশে থেকেছে। ওরা না থাকলে আমার ছোট ছেলেও হয়তো বেঁচে থাকতো না। আমি শুধু আমার শেষ আশাটুকু বাঁচিয়ে রাখার জন্য আপনাদের দোয়া চাই।”

আলোচনা সভায় বিএনপির পক্ষ থেকে ‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের’ শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য সম্মানসূচক আসনের ব্যবস্থা করা হয়। দলীয় সূত্র জানায়, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে এসব পরিবারকে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, জাহিদ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।

এর আগে ‘জুলাই স্মরণে’ শহীদ মিনারে ছাত্রদল মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ

আরও পড়ুন