শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:০২, ১ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৯:০৯, ১ জুলাই ২০২৫
আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল: ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, “আমার বড় ছেলে আবদুল্লাহর বয়স ছিল ১৭। সে ৫ আগস্ট বিমানবন্দর এলাকায় গুলিতে শহীদ হয়। ১৪ দিনের মাথায় ছোট ছেলের ক্যানসার ধরা পড়ে। আর ১৮ মে আমার স্বামী ব্রেন স্ট্রোকে মারা যান। এখন আমার ছোট ছেলে হাসপাতালে। আগামী শুক্রবার তার অপারেশন। একমাত্র ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ই আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই দুঃসময়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আমাদের চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে, পাশে থেকেছে। ওরা না থাকলে আমার ছোট ছেলেও হয়তো বেঁচে থাকতো না। আমি শুধু আমার শেষ আশাটুকু বাঁচিয়ে রাখার জন্য আপনাদের দোয়া চাই।”
আলোচনা সভায় বিএনপির পক্ষ থেকে ‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের’ শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য সম্মানসূচক আসনের ব্যবস্থা করা হয়। দলীয় সূত্র জানায়, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে এসব পরিবারকে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, জাহিদ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
এর আগে ‘জুলাই স্মরণে’ শহীদ মিনারে ছাত্রদল মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ