শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:৩৪, ২ জুলাই ২০২৫
বুধবার (২ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউনেসকোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভাইজ এবং সংস্থাটির ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন অ্যান্ড জার্নালিস্ট সেফটি বিভাগের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মেহদি বেনশেলাহ’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এই আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎটি অনুষ্ঠিত হয় ইউনেসকো ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রেক্ষাপট মূল্যায়ন: মুক্ত, স্বাধীন ও বহুমাত্রিক গণমাধ্যমের ওপর গুরুত্ব’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের আগমুহূর্তে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এ প্রতিবেদনটির অপেক্ষায় আছি। বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ভুয়া তথ্য, গুজব ও ফেক নিউজ। এসব ছড়াচ্ছে কিছু প্রবাসী এবং কিছু দেশীয় গোষ্ঠী—একপ্রকার অবিরাম তথ্যবোমার মতো।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভুয়া তথ্য শুধু ডিজিটাল মিডিয়া নয়, প্রচলিত প্রচারমাধ্যম থেকেও ছড়াচ্ছে। জাতিসংঘের উচিত শুধু সরকারের সঙ্গে নয়, বরং সরাসরি গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনায় বসা।’
ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, “স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ দরকার। কোনো গণমাধ্যম যদি বারবার মিথ্যা তথ্য প্রচার করে, তাহলে তাদের মনে করিয়ে দিতে হবে যে তারা বিশ্বাসযোগ্যতার সীমানা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন।”
জবাবে ইউনেসকোর বাংলাদেশ প্রধান সুসান ভাইজ জানান, বৃহস্পতিবার প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনে গণমাধ্যমের ‘আত্মনিয়ন্ত্রণ’-এর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি দেখাবে কোথায় কী কাজ করছে এবং কোথায় দুর্বলতা রয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ থাকবে, যা বাস্তবায়নে কর্মকর্তাদের, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের এবং বিচারকদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে।’
সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মেহদি বেনশেলাহ জানান, প্রতিবেদনে সাংবাদিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়েও সুপারিশ থাকবে। তিনি বলেন, “সরকারি নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো গণমাধ্যম স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।”
প্রসঙ্গত, এ প্রতিবেদনটি জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (UNDP) ‘Strengthening Institutions, Policies and Services (SIPS)’ প্রকল্পের আওতায় এবং ইউনেসকোর গণমাধ্যম উন্নয়ন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ম্যান্ডেট অনুসারে তৈরি করা হয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ