শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৩, ২ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনটি বুধবার (২ জুলাই) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। তারা নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজপোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুনে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৮৯টি। এতে নিহত হয়েছেন ৬৯৬ জন, আহত এক হাজার ৮৬৭ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশু ১০৯টি ও নারী ১০৪ জন। ২৫৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ২২৮ জন; যা মোট নিহত হওয়ার ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনায় ১২০ পথচারী নিহত হয়েছেন; যা মোট নিহত হওয়ার ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ১০৬ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে ১৮টি নৌ দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১৩ জন। এ ছাড়া ৫৩টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ৪৪ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২৫ জন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৯৬টি জাতীয় মহাসড়কে, ২৪৩টি আঞ্চলিক সড়কে, ৫৯টি গ্রামীণ সড়কে, ৮৭টি শহরের সড়কে ও চারটি অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে কিছু বিষয় উল্লেখ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এগুলো হলো ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; ত্রুটিপূর্ণ সড়ক; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা; অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।
অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা অতিরিক্ত গতির কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটেছে বলে জানান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, এই গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি দরকার। চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ দরকার। যানবাহনের বেপরোয়া গতি ও পথচারীদের অসচেতনতার কারণে পথচারী নিহত হওয়ার ঘটনা বাড়ছে। এ জন্য সরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে জীবনমুখী সচেতনতামূলক প্রচার চালাতে হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ