শিরোনাম
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৩৮, ৩ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৪:১৩, ৩ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে উপজেলার বাঙ্গরা থানার আকবপুর ইউনিয়নের কড়াইবাড়ি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহতরা হলেন— কড়ইবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার ওরফে রুবি (৫৩), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে জোনাকি আক্তার (২৫)। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন রোকসানার আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (৩০)। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঙ্গুরা বাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ, নিহতরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ কারণে উত্তেজিত জনতা তাদের ওপর হামলা চালান।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন, এই পরিবারটি এলাকায় মাদক কারবারে জড়িত ছিল। উত্তেজনার একপর্যায়ে তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। তিনি আরো জানান, এলাকাটি বর্তমানে উত্তেজনাপূর্ণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার নজির আহম্মেদ খান এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। পুলিশ বলছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্প্রতি মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই নারীকে পাশবিক নির্যাতন করা হয় এবং নগ্ন ভিডিও ধারণ করা হয়। ধর্ষণে অভিযুক্ত ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়া এবং নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজন কারাগারে আছেন।
নারীকে ধর্ষণ ও হেনস্তার ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনার সাতদিনের মধ্যেই তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটলো।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ