ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

পহেলা বৈশাখে কী পরবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪:২৮, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৫:২১, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

পহেলা বৈশাখে কী পরবেন

পহেলা বৈশাখ মানেই বাঙালির আনন্দ আর উৎসবে মেতে ওঠা। এই দিনে ঐতিহ্যবাহী সাজে সেজে ওঠে সবাই। তবে যেহেতু পহেলা বৈশাখ সাধারণত এপ্রিল মাসে হয়, যখন আবহাওয়া বেশ উষ্ণ থাকে, তাই পোশাক নির্বাচনে আরামের বিষয়টিও মাথায় রাখা জরুরি। ফ্যাশনের সঙ্গে আরামের মেলবন্ধন ঘটিয়ে এই গরমেও বৈশাখ উদযাপনে আপনি হয়ে উঠতে পারেন অনন্য।

নারীর পোশাক: আরাম ও ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি

সুতির শাড়ি: বৈশাখের চিরায়ত পছন্দ লাল-সাদা সুতির শাড়ি। গরমে আরাম পেতে এর জুড়ি নেই। হালকা তাঁতের শাড়ি বা হ্যান্ডলুম কটনও দারুণ বিকল্প হতে পারে। লাল-সাদার পাশাপাশি অন্যান্য উজ্জ্বল রঙের মিশেলের সুতির শাড়িও বেছে নিতে পারেন। এক রঙের লাল ব্লাউজ এক্ষেত্রে খুবই মানানসই হবে।
সালোয়ার কামিজ/কুর্তি: যারা শাড়ি পরতে অভ্যস্ত নন, তারা আরামদায়ক সুতির সালোয়ার কামিজ বা কুর্তি বেছে নিতে পারেন। গরমের কথা মাথায় রেখে কাঁধ, গলা ও হাতার নকশা একটু খোলা রাখা যেতে পারে। লাল, সাদা, অফ-হোয়াইট, হলুদ, কমলা বা পাটের রঙের মিশ্রণে ব্লক প্রিন্ট বা হাতের কাজের পোশাক এই সময়ে বেশ জনপ্রিয়।

সাজসজ্জা: খোঁপায় বা বেণীতে গাঁদা বা রজনীগন্ধার ফুল, হাতে চুড়ি, কানে ঝুমকা এবং হালকা মেকআপ বৈশাখের সাজকে পূর্ণতা দেবে।

পুরুষদের পোশাক: ঐতিহ্যবাহী অথচ আরামদায়ক

পাঞ্জাবি ও পায়জামা/জিন্স: গরমে আরামের জন্য সুতি বা খাদি কাপড়ের পাঞ্জাবি সেরা। অফ-হোয়াইট বা সাদা পাঞ্জাবির ওপর লাল রঙের কাঁথা বা ব্লক প্রিন্টের নকশা বৈশাখের ফ্যাশনে নতুন মাত্রা যোগ করে। এর সাথে মানানসই পায়জামা বা হালকা জিন্স পরা যেতে পারে।
কুর্তা ও লুঙ্গি/ধুতি: আজকাল অনেকেই ধুতি-কুর্তার ট্রেন্ড অনুসরণ করছেন। ধুতি বা লুঙ্গি পরলে তা অবশ্যই হালকা সুতির এবং ঢিলেঢালা হওয়া উচিত। রঙিন গামছা বা পাতলা স্কার্ফ শুধু ঘাম মোছার কাজেই লাগে না, এটি পোশাকেও একটি স্টাইলিশ লুক দেয়।

শিশুদের পোশাক: আরামকে প্রাধান্য দিন, ফ্যাশন পরে

ছেলেদের জন্য: হালকা রঙের সুতির পাঞ্জাবি ও থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট অথবা সাধারণ প্যান্ট আরামদায়ক বিকল্প। পোশাকের কাপড় যেন ঘাম শোষণ করতে পারে এবং ঢিলেঢালা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মেয়েদের জন্য: সুতির ফ্রক, টপ-স্কার্ট অথবা কুর্তি-লেগিংস এই সময়ের জন্য উপযুক্ত। সুতির কাপড়ে ফুলের নকশা বা ছোট ছোট এমব্রয়ডারি দেখতে খুব সুন্দর লাগে।
জুতা ও অন্যান্য: বাচ্চাদের জন্য আরামদায়ক স্যান্ডেল বা কেডস বেছে নেওয়া উচিত। শিশুরা যেহেতু দৌড়াদৌড়ি করে, তাই তাদের পোশাক ও জুতা যেন চলাচলে কোনো বাধা না দেয়।

পোশাক নির্বাচন ও ফ্যাশনের গুরুত্বপূর্ণ দিক:

১.  কাপড়ের ধরন: গরমের জন্য খাঁটি সুতি, খাদি, লিনেন বা মলমলের মতো কাপড় সবচেয়ে ভালো।

২.  রঙ নির্বাচন: উজ্জ্বল রং যেমন লাল, কমলা, হলুদ এবং হালকা রং যেমন অফ-হোয়াইট, হালকা নীল বা পাটের রং গরমে স্বস্তি এনে দেয়।

৩.  ঢিলেঢালা কাটিং: আঁটসাঁট পোশাকের পরিবর্তে হালকা ফ্লোয়ি কাপড় ও ঢিলেঢালা কাটের পোশাক গরমে আরাম দেবে।

৪.  ঘামের বিষয়: পোশাকের বুনন, কাপড়ের বায়ু চলাচল করার ক্ষমতা এবং হাতা ও গলার কাটের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত।

বৈশাখের উৎসবে আনন্দ করুন আরামদায়ক পোশাকে, যা আপনার বাঙালিয়ানাকেও ফুটিয়ে তুলবে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/বিডি
 

আরও পড়ুন