শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৭, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানান, ‘আমাদের বসে থাকার সময় নেই। নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’ ইসি সূত্র জানায়, সরকার থেকে রাজনৈতিক নির্দেশনা এলেই সময়মতো নির্বাচন পরিচালনায় সক্ষম হতে চায় সংস্থাটি।
ইসি ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর—যেমন শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, এলজিইডি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে ভোটকেন্দ্রগুলোর প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সীমানাপ্রাচীর নেই, দরজা-জানালা জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাই নিজস্ব অর্থায়নে জরুরি মেরামত ও সীমিত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
ইসি বলছে, প্রতিবছর এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ রাখা সংস্কার তহবিল থেকেই কাজগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এ জন্য দ্রুত অর্থ ছাড়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে।
সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রায় ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রে ২ লাখ ৬০ হাজারের মতো ভোটকক্ষ ব্যবহৃত হয়েছিল। এবার ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে বলেও জানা গেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ডিসেম্বরকে মাথায় রেখে প্রস্তুতি এগোচ্ছে। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সম্প্রতি জানান, নির্বাচন সংক্রান্ত রোডম্যাপ আগামী জুলাইয়ের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচনী সামগ্রী কেনার কাজও চলছে পুরোদমে। ইসি ইতোমধ্যে এক লাখ বড় হেসিয়ান ব্যাগ, ৬০ হাজার ছোট হেসিয়ান ব্যাগ, এক লাখ গানি ব্যাগ, ২০ হাজার কেজি গালা ও ৪০ লাখ ব্যালট বাক্সের লকের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। এগুলো ১৩ মে খোলা হবে। তবে পর্যাপ্ত ব্যালট বাক্স থাকায় নতুন করে সেগুলো কেনার প্রয়োজন নেই।
ব্যালট পেপার, ফরম, প্যাকেট, পোস্টার, নির্দেশিকা ও প্রশিক্ষণ সামগ্রীসহ ৫৩ ধরনের নির্বাচনী উপকরণ ছাপানোর প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ১৫ এপ্রিল মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি। বৈঠকে জানানো হয়, কাগজ সংগ্রহে ৩-৪ মাস সময় লাগবে।
এ ছাড়া প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অনলাইন ভোটিং ও প্রক্সি ভোট পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার কমিশন। এ নিয়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সম্প্রতি কর্মশালা করেছে ইসি। একইসঙ্গে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন দল নিবন্ধন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন সংশোধন, আচরণবিধি প্রণয়ন ও পর্যবেক্ষক নীতিমালার খসড়া তৈরির কাজও চলমান।
চলমান ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমে ২২ জুন পর্যন্ত নতুন ভোটার হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ইসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৬১৫, নারী ভোটার ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৫ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯৯৪ জন। চলমান নিবন্ধন শেষে আরও ৪০ লাখের বেশি নতুন ভোটার যুক্ত হতে পারেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি