শিরোনাম
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:৪৮, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ২০:০২, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
ত্রিবার্ষিক এই নির্বাচনে ২১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন ৪০ জন প্রার্থী। ভোটারসংখ্যা ৬৯৯। নবীন ও খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পীদের পাশাপাশি সংবাদকর্মী ও সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকেই এসেছিলেন নির্বাচন দেখতে।
সবার মাঝেই কৌতূহল; কে জিতবেন কে হারবেন– তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার যেন শেষ নেই। ভোট দেওয়ার পর দল বেঁধে শিল্পীদের আড্ডা দেওয়া ও গল্পের আসর বসাতে দেখা গেছে। এবারের নির্বাচনে ফল যা-ই হোক, ভোটার আর প্রার্থীর মিলনমেলা স্মরণীয় হয়ে থাকবে– এমন কথাও শোনা গেছে অনেকের মুখে।
দুপুরের পরই ভোটারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ভোট দিতে আসা তারকা অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘এবারেরর নির্বাচনের পরিবেশটা একটু অন্যরকম। প্রতিবারের চেয়ে আলাদা। আমরা যারা অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত, তাদের একটি বিশেষ দিন আজ। এখানে অনেকেই আমার খুব প্রিয়। কাকে রেখে কাকে ভোট দেব– ভাবনায় পড়ে যাই।’
এই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন নরেশ ভূঁইয়া ও ফারুক আহমেদ।
নরেশ ভূঁইয়া বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ অনেক সুন্দর ছিল, প্রার্থীরা সবাই বলছেন নির্বাচন একটি প্রক্রিয়া, এটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়। সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশে আনন্দ নিয়ে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন।’
এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়েছেন অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম ও আবদুল্লাহ রানা। সহসভাপতি প্রার্থী ছয়জন। সাধারণ সম্পাদক পদে লড়েছেন অভিনেতা শাহেদ শরীফ খান ও অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন পাঁচজন। অর্থ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন যথাক্রমে নূর এ আলম নয়ন ও তানভীর মাসুদ। অনুষ্ঠান সম্পাদক পদে লড়েছেন তিনজন। আইন ও কল্যাণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন দু’জন। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে দু’জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন।
কার্যনির্বাহী পরিষদের সাতটি সদস্য পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১১ জন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত [সন্ধ্যা ৭টা] ভোট গণনা চলছিল।
তবে এবার অভিনয়শিল্পী সংঘের বর্তমান সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম ও সম্পাদক রওনক হাসান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।