শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩১, ৬ মে ২০২৫ | আপডেট: ১২:৩৪, ৬ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘মৌলিক সংস্কার বলতে আমরা শুধু নির্বাচনী ব্যবস্থা বা সংবিধান সংশোধনের মতো বিষয় বুঝি না। বরং ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহিতা এবং বিকেন্দ্রীকরণ—এই তিনটি দিকেই আমরা সংস্কারের মূল ভিত্তি দেখি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে আমাদের সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো থেকে স্বৈরতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী উপাদান দূর করা জরুরি। সাংবিধানিক পদে নিয়োগে দলীয়করণের বদলে জাতীয় স্বার্থের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে একটি ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এসব বিষয়কেই আমরা মৌলিক সংস্কারের অংশ মনে করি, এবং সেই অনুযায়ী একটি রূপরেখা জমা দিয়েছি।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘গত ৫৩ বছরে রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে যে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী ধারা টিকে আছে, তা বাংলাদেশের জনগণকে বারবার নিপীড়নের শিকার করেছে। এই কাঠামো থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্যই এনসিপি এই সংস্কারের প্রস্তাবনা দিয়েছে।’
এ সংলাপে এনসিপির প্রতিনিধি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার, জাভেদ রাসিন এবং উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
ঢাকা এক্সপ্রেস/বিডি