ব্রেকিং
মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৩৯, ২২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১১:৩৯, ২২ জুলাই ২০২৫
মা উম্মে হাবিবা রজনীকে (বাঁয়ে) হারিয়ে কাঁদছে মেয়ে ঝুমঝুম খাতুন, ছবি: সংগৃহীত
ঢাকায় কর্মরত স্বামীর সঙ্গে উত্তরার একটি বাসায় বসবাস করতেন রজনী। তাদের একমাত্র মেয়ে ঝুমঝুম খাতুন (১২) ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সোমবার উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন রজনী। মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। এতে মটমুড়া ইউনিয়নের বাওট গ্রামে সৃষ্টি হয় হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির। কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের মা, ভাইবোন ও প্রতিবেশীরা। পরে মরদেহ নেওয়া হয় কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার সাজিপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে।
পরিবার সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার দিন, প্রতিদিনের মতো মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন রজনী। এ সময় হঠাৎ একটি প্রশিক্ষণ বিমান তাদের সামনে বিধ্বস্ত হলে ঘটনাস্থলেই উম্মে হাবিবা রজনী মারাত্মক আহত হন। দগ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকার সিএমএইচ বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়, সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রজনী।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চর সাজিপুর গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। মেয়ে ঝুমঝুম গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বর্তমানে শিশুটি পরিবারের সঙ্গে রয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ