শিরোনাম
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:৫৯, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১২:০৪, ২০ এপ্রিল ২০২৫
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, দুর্গম পাহাড়ি পথ, দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে উদ্ধার অভিযানে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে তারা অপহৃতদের উদ্ধারে কাজ করছেন এবং কৌশলগত দিক বিবেচনা করে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে অভিযানের বিস্তারিত তথ্য জানাতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বলেছেন, অপহৃতদের উদ্ধার করাই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে অপহৃত হওয়ার স্থান ও তার সম্ভাব্য এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।
এ ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণের ঘটনায় তারা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। তবে জেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) অভিযোগ করেছে যে ইউপিডিএফ প্রসীত এই অপহরণের সাথে জড়িত।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের গিরিফুল এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে অপহরণ করা হয়। তারা বৈসাবি উৎসব শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে এই ঘটনার শিকার হন।
অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, চারুকলা বিভাগের মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিশন চাকমা এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তারা সবাই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অপহৃতদের মধ্যে রিশন চাকমা পিসিপির চবি শাখার সদস্য এবং তারা সকলেই রাঙামাটি ও বান্দরবানের বাসিন্দা।