শিরোনাম
যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১:০৮, ২০ এপ্রিল ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
সাজাপ্রাপ্ত মুবিবুল ইসলাম যশোর সদর উপজেলার চানপাড়ার নাইম মসজিদ এলাকার মোশারফ হোসাইনের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ লতা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নিহত জয়নাবের দুলাভাই চানপাড়া নাঈম মসজিদের ইমামতি করতেন। দুলাভাইয়ের বাসায় যাতায়াতের সুবাদে জয়নাবের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে আসামি মুবিবুল ইসলামের। ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর জয়নাব তার গ্রামের বাড়ি নড়াইল মির্জাপুর থেকে নিখোঁজ হয়। এ সংবাদ জানতে পেরে জয়নাবের দুলাভাই মুজিবুলের জানতে পারেন সে মাদ্রাসা ও বাড়িতে- কোথাও নেই। অনেক খোঁজাখুজি করে জয়নাবকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় স্বজনেরা।
৪ নভেম্বর দুপুরে পুলিশ বাঘারপাড়ার ভাংগুড়া মাঠের একটি ঘের থেকে জয়নাবের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত জয়নাবের পিতা জিয়াউর শেখ বাদী হয়ে মুজিবুল ইসলামকে আসামি করে বাঘারপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে আসামি মুজিবুলকে অভিযুক্ত করে শিশু জয়নাবকে ফুসলিয়ে এনে ধর্ষণ ও হত্যা করায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নবুয়াত হোসেন।
দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি মুজিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামির উপস্থিতিতে তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, একলাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ