শিরোনাম
খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫:৫৭, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন এবং অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করেন, শিক্ষা উপদেষ্টা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও শিক্ষক সমাজের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি, যা তাদের ব্যথিত করেছে। তারা বলেন, "কয়েকজন শিক্ষার্থীর মিছিলকে কেন্দ্র করে কুয়েটকে উত্তাল বলা হচ্ছে, অথচ এখানে পাঁচ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।"
তারা আরও জানান, শিক্ষকরা রাজনৈতিক ট্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছেন, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। শিক্ষার্থীদের হাতে উপাচার্য লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন, তাঁর গায়ে থুতু দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কয়েকজন শিক্ষককেও অপমান ও কটূক্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তারা।
এর আগে বুধবার সকালে শিক্ষা উপদেষ্টা ছি আর আবরার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিকে কেন্দ্র করে কুয়েটে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে, যেখানে অনেকে আহত হন। এর প্রেক্ষিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিক্ষার্থীরা ১৩ এপ্রিল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং পরদিন থেকে উপাচার্য অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নামে। ১৪ এপ্রিল রাতে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ৪ মে ক্লাস শুরু ও ২ মে হল খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে এবং ১৫ এপ্রিল হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তারা এক দফা দাবিতে উপাচার্য অপসারণের আন্দোলন জোরদার করে এবং ২১ এপ্রিল থেকে আমরণ অনশন শুরু করে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি