শিরোনাম
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:৪৪, ১ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৫:০৪, ১ মে ২০২৫
নোয়াখালীতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের আয়োজনে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
এ ছাড়াও, নোয়াখালী সুপার মার্কেট সংলগ্ন জেলা সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে বর্ণাঢ্য র্যালিটি শুরু হয়ে জেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আল ফারুক একাডেমি স্কুল মাঠে এসে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি মাহবুবুর রহমান রিয়াদের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মমিন উল্যাহ সঞ্চালনা করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলা আমীর ও জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা ইসহাক খন্দকার (বিএসসি)।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এ্যাডভোকেট জহিরুল আলম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নোয়াখালী শহর আমীর ও নোয়াখালী শহর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ, নোয়াখালী জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ ও নোয়াখালী জজকোর্টের অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোহাম্মদ আলী শহীদ।
এ ছাড়াও, অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি শাহ মিজানুল হক মামুন, নোয়াখালী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালী জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট তাকরীর হোসাইন, নোয়াখালী শহর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান হোসেন এবং নোয়াখালী জেলা সিএনজি স্ট্যান্ড কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল আলম কচি ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, “১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে শ্রমিকেরা কাজের সময়সীমা আট ঘণ্টা নির্ধারণ, কাজের উন্নত পরিবেশ, মজুরি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে ধর্মঘট আহ্বান করেন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা সেদিন দাবি আদায়ের জন্য পথে নেমে এসেছিলেন। কিন্তু সেদিন বিক্ষোভ দমনে প্রশাসনের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশের গুলিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। সে ঘটনায় তখন সারা বিশ্ব সোচ্চার হয়ে ওঠে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পায় শিকাগোর শ্রমিকদের আত্মদানের মধ্য দিয়েই।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে আজও শ্রমিকেরা তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। বিগত সময়ে ফ্যাসিস্ট সরকার সর্বক্ষেত্রে শ্রমিকদের অধিকার হরণ করেছে। আগামী দিনে এদেশে ইসলামী শাসন কায়েমের মধ্যে দিয়ে ‘বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন’শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি নিশ্চিত করবে বলে আশ্বস্ত করেন বক্তারা।
বক্তারা আরো বলেন, “এদেশে স্বৈরাশাসক চাঁদাবাজের বিদায় হয়েছে কিন্তু নব্য চাঁদাবাজের উত্থান হয়েছে। কোন টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি এই নোয়াখালীতে চলবে না। নতুন করে যারা চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজিতে লেগেছে তাদেরকে ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করার আহৃবান জানিয়েছেন তারা।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সংস্কার কমিটি গঠন করলেও শ্রম নীতি বিষয়ক কোন সংস্কার কমিশন গঠন করেনি। অনতিবিলম্বে শ্রমনীতি বিষয়ক কমিটি গঠনে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ দাবি জানান ।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ