ঢাকা, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
৪ আষাঢ় ১৪৩২, ২১ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬
শিরোনাম
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:৩৮, ১৯ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
নিহত মিজান ঢাকায় কর্মরত গার্মেন্টস শ্রমিক মো: আনোয়ার হোসেনের একমাত্র ছেলে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সরকার শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে সৈয়দপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে কোনো তথ্য পায়নি।
শিশুটির পরিবার জানায়, দুপুর ১টা থেকে মিজানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। আত্মীয়-স্বজনের বাসায় খোঁজ নেওয়া হয় এবং এলাকায় মাইকিংও করা হয়। পরে স্থানীয়দের পরামর্শে বাড়ির পাশের এএনবি-২ ইটভাটার খালে খোঁজ শুরু করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর খালের পানির নিচ থেকে মিজানকে উদ্ধার করা হয়। পরে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী জানান, শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে এএনবি-২ ইটভাটা এলাকায় আসে এবং মায়ের অজান্তে পানি ভর্তি খালে পড়ে যায়। সৈয়দপুর অঞ্চলে প্রায় ২২ টি ইটভাটা রয়েছে, যেগুলোর জন্য মাটি কাটতে গিয়ে খালের মতো এমন বহু গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে সেগুলো ভয়ানক রূপ ধারণ করে, যা শিশুদের জন্য চরম বিপদজনক।
এ বিষয়ে ইটভাটার মালিক হাজী নাজমুল হোসেন বলেন, ‘হায়াত ফুরিয়েছে তাই মারা গেছে, এতে আমার দোষ কোথায়?’
তবে এলাকাবাসীর মধ্যে এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘ইট ভাটার মাটি কাটার সময় প্রতিবাদ জানানো হয়েছিলো যাতে পাড়া-মহল্লার পাশে গভীর গর্ত না করা হয়। কিন্তু টাকার জোরে ইট ভাটার মালিক সবকিছু নিজের মতো করে চালিয়ে যাচ্ছেন, স্থানীয়দের কোনো কথাই তার কানে পৌঁছায় না। এলাকাবাসী ইটভাটার এই অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ
