দুই অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে ১ চালক নিহত, আহত ৬

চিকিৎসার জন্য সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় করে রোগী নিয়ে যাচ্ছিলেন চালক। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছার আগেই বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি অটোরিক্সার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যান তিনি। সোমবার (১৯ মে) দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে নেত্রকোণা-মোহনগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বারহাট্টা উপজেলার স্বল্প দশাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত চালকের নাম মোফাজ্জল হোসেন (৪০। তিনি বারহাট্টা উপজেলার মহাজনপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে। 

এই ঘটনায় অটোরিক্সা দু’টির অপর ৬ যাত্রী আহত হন। তারা হলেন উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের হেলিম মিয়া (৩৯), মোসা: রুপা আক্তার (২২), একামনি (২০), আব্দুল হাকিম (৫৫), নার্গীস আক্তার (৩৫), মো: নাসির মিয়া (২২) ও গুমুরিয়া গ্রামের বাদশা মিয়া। 

তাদের আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। 

জানা গেছে, নিহত মোফাজ্জল নোওয়াগাঁও গ্রামের আহত নাসিরকে নিয়ে বারহাট্টা থেকে নেত্রকোণার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে বিপরিত দিক থেকে আসা অপর একটি অটোরিক্সার সাথে সংঘর্ষে তাদের একজন নিহত ও অপরজন আহত হন। 

গুরুতর আহত যাত্রীদের একজন বাদশা মিয়া বলেন, ‘আমি নেত্রকোণা থেকে বারহাট্টায় আসতেছিলাম। হঠাৎ স্বল্প দশাল এলাকায় এসে সিএনজি দু’টির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে আমি আর কিছুই বলতে পারিনি। দু’টি গাড়িই সড়কের মাঝ বরাবর ও বেপরোয়াভাবে চালাচ্ছিলো।’ 

বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. প্রিয়াঙ্কা দাস বলেন, ‘রাত ১০.৫০ মিনিটে ৮ ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার মধ্যে মোফাজ্জল হোসেন নামে একজন রাস্তায় মারা গেছেন। বাকি ৭ জনের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাই তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’ 

বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিহত মোফাজ্জল হোসেনকে দেখতে এসে বারহাট্টা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাজরুল ইসলাম সজল বলেন, ‘যারা আজকে এই দুর্ঘটনায় আহত এবং নিহত হয়েছে, আমরা বারহাট্টা উপজেলা ছাত্রদল তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করবো।’ 

অন্যদিকে, বারহাট্টা সরকারি কলেজের ছাত্রদলের আহ্বাবায়ক আব্দুল আল মামুন বলেন, ‘গুরুতর আহতদের মধ্যে একজন আমাদের ছাত্রদল কর্মী আছে। আমার কাছ থেকে ঘটনা শোনার সাথে সাথেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এটিএম আব্দুল বারী ডেনি নিহত ও আহতদের পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন এবং আমাদেরকে তাদের পাশে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।’ 

বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে দমকল বাহিনীর লোকজনের সাথে উদ্ধার তৎপরতা চালাই। একজন স্পটেই মারা গেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া ও আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’