শিরোনাম
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫:২৯, ২০ মে ২০২৫
আগুনে ভস্মীভূত ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সবকিছু। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল আজিজ ও হানিফ উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, হানিফের মাটির দেয়াল ও খড়ের চালের ঘর এবং আব্দুল আজিজের সেমিপাকা টিনের ঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত। ঘরের মধ্যে পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্র, কাপড় চোপড়, বই খাতা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পড়ে রয়েছে ছাই আর কয়লার স্তূপে।
সবচেয়ে হৃদয় বিদারক চিত্র ছিলো এইচএসসি পরীক্ষার্থী আখিজা আক্তার আঁখির কান্না। সে সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী আঁখি বলেন, ‘আমি টের পেয়েছি কেউ বাড়ির পেছনে এসে টিনের চালে কিছু একটা ছিটিয়ে দিচ্ছে। তখন পেট্রোল জাতীয় গন্ধ পাই। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। বাবা-মা না থাকলে হয়তো আজ আমরা দুই ভাইবোনই পুড়ে মরতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সব বই-খাতা, নোট শেষ। নতুন করে বই কিনে এখন কিভাবে প্রস্তুতি নিবো? আমাদের বাড়িঘরের সবকিছু শেষ। আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যেনো আর কোনো শিক্ষার্থীর জীবন এভাবে ছিন্নভিন্ন না হয়।’
আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমার ভাইয়ের খড়ের চালার ঘর থেকেই আগুনের সূত্রপাত। কিন্তু সন্ধ্যা থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিলো। ভেজা খড়-টিনে আগুন লাগা স্বাভাবিক নয়। কেউ দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে আগুন লাগিয়েছে—এই বিশ্বাসেই থানায় অভিযোগ করেছি। আমাদের হত্যা করতেই পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি জমি নিয়ে যাদের সঙ্গে বিরোধ ছিলো, তারাই আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এমন জঘন্য অপচেষ্টা চালিয়েছে বলে আমরা সন্দেহ করছি।’
সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার হামিদুর রহমান জানান, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব নেওয়া হয়েছে। আগুনের সঠিক উৎস অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জড়িত কেউ ছাড় পাবে না।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ