শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২:৪৩, ২৩ মে ২০২৫
জোয়ারে ভেসে যাওয়া মৃত গরু। ছবি: সংগৃহীত
স্থানীয়রা জানান, গ্রামের গরুগুলো প্রতিদিনই সকালে বিলে ঘাস খেতে যায়। দিনশেষে খাল পার হয়ে আবার গৃহস্থের বাড়ি ফিরে আসে। খালে প্রচুর কচুরিপানা রয়েছে। শুক্রবার ফেরার সময় গরুগুলো হঠাৎ করে আসা জোয়ারের স্রোতের মুখে পড়ে। এতেই গরুগুলো ভেসে যায়। তখন লোকজন বাড়ি থেকে ছুটে এসে গরু খোঁজা শুরু করে। তবে কোন গরুকে পাড়ে আনা সম্ভব হয়নি। গ্রামের প্রায় সব মানুষই ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ঈদের আগে তারা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্যামল খান বলেছেন, আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সবারই গরু রয়েছে। ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন চরে খাস খাইয়ে গরুগুলো লালন-পালন করে সবাই। গ্রাম এবং চরের মধ্যে ছোট একটি খাল রয়েছে। খালটি মেঘনার সঙ্গে যুক্ত। সেখানেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
কৃষক মহাসিনের চারটি গরু মারা গেছে। তিনি কেঁদে কেঁদে বলেছেন, “এমন ঘটনা জীবনেও ঘটে নাই। এমন কিছু ঘটতে পারে তা আমরা চিন্তাও করি নাই। আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি, পথের ফকির হয়ে গেছি।”
হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেছেন, “খবর পেয়ে ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অনেক কৃষকের গরু জোয়ারে ভেসে গেছে। সামনে ঈদ এর আগে এমন ঘটনা ঘটে গেলো। কৃষকদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।”
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম জানান, “প্রায় শতাধিক গরু জোয়ারে ভেসে গেছে বলে আমরা জানতে পারি। এখন পর্যন্ত ৩৬টি মৃত গরু উদ্ধার করা হয়েছে। আরও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হবে।”
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসইউ