শিরোনাম
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:৩৬, ৩১ মে ২০২৫
ভূষণছড়া গণহত্যার বিচারের দাবিতে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ বরকল উপজেলা শাখার সভাপতি তসলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো: ইসমাইল গাজী এতে সঞ্চালনা করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজ মুরশিদ, ভূষণছড়া গ্রামের ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আবু বক্কর সিদ্দিক, শাহ আলম সওদাগর, মো: আব্দুল হালিম, সুলতান আহমেদ মন্ডল, ভূষণছড়া ইউপির সাবেক সদস্য আব্দুল জলিল, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি কামাল উদ্দিনসহ গণহত্যার শিকার স্বজনরা আলোচনায় অংশ নেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘এই গণহত্যা পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। ৪১ বছর পার হলেও এই গণহত্যার আজও বিচার হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পায়নি কোনো সহযোগিতা।’
বক্তারা এই গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীষদের বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসনের দাবি জানান।
আলোচনা সভার পর গণহত্যায় নিহতদের কবর জিয়ারত, মিলাদ এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়াও, এই দিনে নিহতদের স্মরণে স্বপ্নচূড়া ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ৫০০ শতাধিক হতদরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধ বিতরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের ৩১ মে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা রাঙামাটির বরকল উপজেলার দুর্গম ভূষণছড়া গ্রামে নারী-শিশুসহ চার শতাধিক বাঙালিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সেদিন ভোর ৪ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত মাত্র চার ঘণ্টার ব্যবধানে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়। শান্তি বাহিনীর ১২৫ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ এ হত্যাকান্ড পরিচালনা করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে অসংখ্য বাঙালি আহত হয়েছিলো। পুড়ে ছাই হয়ে যায় চার শতাধিক বসতবাড়ি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ