শিরোনাম
বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:৫৪, ২ জুন ২০২৫
আটককৃত ৭ জন। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
নির্যাতনের শিকার ঐ ব্যক্তি বেনাপোল রেল ষ্টেশন এলাকার মৃত হারুন শেখের ছেলে। চুরি করায় তার পেশা। এ নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরার হলে প্রশাসনের নজরে আসে। পুলিশ আহত ব্যক্তিকে রোববার (১ জুন) দুপুরে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
নির্যাতনের শিকার রাকিবুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ‘শনিবার বিকালে শার্শা থানাধীন নাভারণ বাজারে শাওন জুয়েলার্সের নির্মাণাধীন ভবনের নিচ তলা থেকে সাইকেল চুরি করার চেষ্টাকালে সকল আসামীরা ও অজ্ঞাতনামা আসামীরা বে-আইনীভাবে লাঠি-সোটা নিয়ে আসামী জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে আমাকে এলোপাতাড়ী কিল-ঘুষি লাথি মারিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে। আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়িলে আসামী জাহিদুল ইসলাম তার হাতে থাকা লোহার হুক দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করিলে উক্ত আঘাত আমার ডান পাশের পাজোরে লাগিয়া গুরুত্বর জখম হয়। তখন আসামী জাহিদুল ইসলাম আমার হাত-পা বেঁধে গাছের সাথে আমাকে ঝুলিয়ে এলোপাথাড়ী লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আমার ডাক চিৎকারে আশপাশে লোকজন আসিয়া আমাকে রক্ষা করিলে আমি সু-কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যাই।’
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি আসামীদের আটক করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ