শিরোনাম
বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:৫৬, ৪ জুন ২০২৫
তিনি জানান, ঈদের ছুটি ও ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ জুন বিকেল থেকেই কার্যত দুই দেশের মধ্যে পণ্য আদান-প্রদান বন্ধ হয়ে যাবে। তবে ১৫ জুন সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আলোচনার ভিত্তিতেই এই ছুটির সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত এই সময়ও স্বাভাবিক থাকবে।
এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নির্দেশনায় ঈদুল আজহার ছুটিতেও সব কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশন সীমিত পরিসরে খোলা রাখার নির্দেশ দিলেও বাস্তবে এ আদেশ কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, ছুটির কারণে শুধু বন্দরেই নয়, সারাদেশেই পণ্য পরিবহনের ট্রাক চলাচল ও গুদামজাতকরণ কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। ফলে ঈদের আগে-পরে ছয়দিন কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলবে না। এতে পণ্যজট ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কাঁচামাল সরবরাহে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতিদিন প্রায় ৪০০–৪৫০টি ভারতীয় ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বেনাপোলে প্রবেশ করে। বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে এই বন্দর। ইতিমধ্যে কিছুটা পণ্যজট রয়েছে, ছুটি শেষে সেটি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. শামীম হোসেন জানান, ছুটির মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ও আনসার সদস্যরা টহল দেবে এবং পোর্ট থানাও বিশেষ নজরদারিতে থাকবে। কেউ চাইলে ছুটির মধ্যেও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় পণ্য খালাস নেওয়ার সুযোগ থাকবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম আহমেদ জানিয়েছেন, ছুটির সময়ে পাসপোর্টযাত্রীদের ভিড় বেশি হয়। সে কারণে ইমিগ্রেশনে অতিরিক্ত জনবল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ