যশোরে ঈদের নামাজে বাধা, প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল বিএনপি নেতার 

যশোরের শার্শা উপজেলায় ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন বিএনপির এক স্থানীয় নেতা। নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল হাই (৫০)। তিনি শার্শার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডুবপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ছিলেন।

শনিবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডুবপাড়া জামতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঈদের দিন সকালে ঈদগাহে নামাজ পড়া নিয়ে শুরু হওয়া উত্তেজনার জেরে রাতে তাকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের সকালে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের একটি ঈদগাহ মাঠে বিএনপির একাংশের নেতা আবু সাইদ আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ঈদের জামাতে অংশ নিতে বাধা দেন। এ সময় আব্দুল হাইসহ কয়েকজন বিএনপি নেতা এর প্রতিবাদ করেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পর আবু সাইদ তার অনুসারীদের নিয়ে সেখান থেকে সরে যান।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে আব্দুল হাই স্থানীয় জামতলা এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় আবু সাইদ তার অনুসারীদের নিয়ে সেখানে গিয়ে বোমা হামলা চালান। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন আব্দুল হাই। তাকে দ্রুত শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই হামলায় আরও একজন—জিয়া (৩২) নামের এক বিএনপি কর্মী আহত হয়েছেন, তিনি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আবু সাইদ নামের এক সন্ত্রাসী এই হামলা চালিয়েছে। সে প্রকৃতপক্ষে বিএনপির কেউ না, বরং দলের নাম ভাঙিয়ে চলছিল। সে একজন মাদকাসক্ত এবং আগেও নানা অপরাধে জড়িত ছিল।’

তবে বিএনপির একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে দাবি করেছে, এটি দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলেরই ফল।

নাভারন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, ‘বোমা হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন।’