শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:৫৬, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৪:১৫, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও হিলারি ক্লিনটন। ছবি: সংগৃহীত
হিলারি লিখেছেন, ২০২৪ সালে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর জাতিকে গণতন্ত্রের পথে ফেরাতে এগিয়ে আসেন ড. ইউনূস। তাঁর ভাষায়, ড. ইউনূস এখন বাংলাদেশকে ‘নিপীড়নের ছায়া’ থেকে বের করে আনছেন। তিনি মানবাধিকার পুনরুদ্ধার, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায়ভিত্তিক ও মুক্ত সমাজ গঠনের ভিত্তি স্থাপন করছেন।
ড. ইউনূসের কর্মজীবনের প্রশংসা করে হিলারি উল্লেখ করেন, তিনি কয়েক দশক আগে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চালু করেন, যার মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারীরা, অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়ন লাভ করেন। তার এই উদ্যোগ লাখো নারীকে আত্মনির্ভর করে তুলেছে এবং পরিবারে তাদের মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়েছে।
প্রবন্ধে হিলারি আরও জানান, ইউনূসের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয় আরকানসাসে, যখন তিনি ও তৎকালীন গভর্নর বিল ক্লিনটন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুরূপ একটি কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা করেন। এরপর বিশ্বজুড়ে ইউনূসের কার্যক্রমের প্রভাব তিনি নিজ চোখে দেখেছেন বলেও জানান হিলারি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করলে, পরদিন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করেন এবং শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি ৮ আগস্ট দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত ‘মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস’ তালিকায় ড. ইউনূস স্থান পান বিশ্বের ৫০০ জন প্রভাবশালী মুসলিমের একজন হিসেবে। একইসঙ্গে ২০২৪ সালের টাইম ম্যাগাজিনের 'টাইম ১০০'–এও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এসএআর