শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:১৮, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৩৯, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
এর মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার, প্রিন্স উইলিয়াম, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, স্পেনের রাজা ফিলিপ ও রানি লেটিজিয়া এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডা সিলভা।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভ্যাটিকানে পৌঁছেছেন।
বিশ্ব নেতাদের এত বড় জমায়েত সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ট্রাম্পের প্রথম শপথ অনুষ্ঠানে। আজকের শেষকৃত্যেও অনেক রাষ্ট্রনেতা অংশ নিচ্ছেন, যাদের সঙ্গে অতীতে পোপের রাজনৈতিক মতবিরোধও ছিল।
গির্জার ব্যাসিলিকার সামনে, স্কোয়ারের একপাশে অতিথিদের জন্য নির্ধারিত আসন রাখা হয়েছে। ফ্রেঞ্চ ভাষার বর্ণানুক্রমিক নিয়ম মেনে বিভিন্ন দেশের নেতা সেখানে বসবেন। সামনের সারিতে থাকবেন আর্জেন্টিনা ও ইতালির প্রতিনিধিরা।
ডাউনিং স্ট্রিট নিশ্চিত করেছে, প্রধানমন্ত্রী স্টারমার পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে অংশ নিচ্ছেন। এক বিবৃতিতে তার নেতৃত্বকে ‘সাহসী’ বলে উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, তিনি ছিলেন ‘গরিব, নিপীড়িত ও উপেক্ষিতদের’ পোপ।
ব্রিটিশ রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে অংশ নিচ্ছেন প্রিন্স উইলিয়াম। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে পোপ জন পলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় রানী এলিজাবেথের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন প্রিন্স অফ ওয়েলস, বর্তমান রাজা চার্লস।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যাথলিক জনগোষ্ঠীর দেশ ব্রাজিল। দেশটির প্রেসিডেন্ট লুলা ডা সিলভা ও ফার্স্ট লেডি জানজা লুলা ডা সিলভাও থাকবেন অনুষ্ঠানে। পোপের মৃত্যুতে ব্রাজিলে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প নিজেই। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই হবে ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফর।
বিশ্বের বৃহত্তম ক্যাথলিক দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো ফিলিপাইন, যেখানে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ নিজেদের রোমান ক্যাথলিক হিসেবে পরিচয় দেন। শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র।
পোপ ফ্রান্সিস ২০১৫ সালে যখন ফিলিপাইন সফর করেন, তখন রাজধানী ম্যানিলায় তার এক সমাবেশে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা উপস্থিত থাকবেন। যদিও কিয়েভে হামলার প্রেক্ষিতে কয়েকটি সামরিক মিটিং থাকায় জেলেনস্কির উপস্থিতি এখনও নিশ্চিত নয়, তবে ফার্স্ট লেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকবেন বলে জানা গেছে।
অন্যান্য উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই, পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ডুডা, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ্পে ও রানি মাতিলদে, ক্রোয়েশিয়া ও ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্টসহ আরও অনেকে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এসএআর