শিরোনাম
চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:০৩, ১৫ জুলাই ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
প্রশাসনিক নিয়মানুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত কোনো পুকুর, খাল কিংবা কৃষিজমি লিজ দিতে হলে প্রথমে বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়। আগ্রহীরা আবেদন করলে, দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতাকে লিজ দেওয়া হয়ে থাকে বলে জানান কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মানিক। অভিযোগ উঠেছে, কোনো বিজ্ঞপ্তি না দিয়েই এই পুকুর লিজ দেওয়া হয়েছে। বছরে ছয় হাজার টাকায় পাঁচ বছরের জন্য পুকুরটি লিজ দেওয়া হয় গাড়িচালক শহরমুল্লককে।
এ বিষয়ে শহরমুল্লক বলেন, পুকুরের পাশেই আগে আমি থাকতাম এবং পুকুরটিতে মাছ চাষ করতাম। চার বছর আগে ওখান থেকে চলে আসার পর ছাত্রলীগের নেতারা মাছ ধরে নিয়েছিল। পুকুরটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছিল। তাই ডিন স্যার কলা অনুষদের সব বিভাগের সভাপতির সঙ্গে মিটিং করে এটি আমাকে চুক্তির মাধ্যমে লিজ দিয়েছে। তিনি বলেন, পুকুরটি পরিষ্কার করতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখানে আমিসহ আরো কয়েকজন মিলে চাষ করছি।
নিয়মের তোয়াক্কা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কৃষিজমি এভাবে লিজ দিতে পারেন কি না জানতে চাইলে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক মানিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো জমি ডিন অফিস সরাসরি লিজ দিতে পারে না। আমরা তাকে আবেদন করতে বলেছি। আবেদন করলে নিয়ম অনুযায়ী লিজ দেওয়া হবে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ডিন অধ্যাপক ইকবাল শাহিন খান বলেন, ওখানে শহরমুল্লক আগে থেকে থাকত। সেখানে তার কিছু গাছও আছে। আর এই পুকুরটি দীর্ঘদিন ধরে ময়লা হয়ে পড়ে আছে। আমরা বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের মিটিংয়ে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রেজল্যুশনের মাধ্যমে তাকে লিজ দেওয়া হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম এটি কলা অনুষদের আওতাধীন। পরে জানতে পারি এটি কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান এবং কলা অনুষদের ডিনের সঙ্গে কথা বলব এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে