শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:৫৪, ১ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৯ জুলাই সিনেট ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তারাও।
তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্রসংগঠনগুলোতে শুরু হয়েছে প্যানেল গোছানোর প্রস্তুতি। ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়ে ইতিবাচক সাড়া জানিয়েছে ছাত্রদল। তারা বলছে, আন্দোলনে সক্রিয় ও শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য নেতাদেরই প্রার্থী করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ কয়েকজন নেতা প্যানেলে থাকবেন বলে জানা গেছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, ‘জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও তাদের সমর্থন করবেন।’
ছাত্রশিবিরও তাদের প্যানেল চূড়ান্ত করছে। আলোচনায় রয়েছে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ এবং সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েমের নাম। ফরহাদ জানান, ‘গণ-আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া পরিচিত মুখেরাই থাকবেন। নারী ও সংখ্যালঘুসহ সকলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকেও প্রার্থী হচ্ছেন জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী কয়েকজন। আলোচনায় রয়েছেন আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্য সচিব জাহিদ আহসান। জাহিদ বলেন, ‘আমাদের প্যানেলে জুলাই অভ্যুত্থানের মুখ্য নেতারা থাকছেন। নারী প্রার্থীরাও ভালো সাড়া পাচ্ছেন।’
ছাত্র অধিকার পরিষদও জানিয়েছে তারা আলাদা প্যানেল দেবে। সংগঠনটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘সংখ্যালঘুসহ সবাইকে প্রতিনিধিত্ব দিতে চাই আমরা।’
এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও এগিয়ে আসছেন অনেকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসুও প্রার্থী হতে পারেন বলে আলোচনা চলছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এবারের ডাকসু নির্বাচনে সংগঠনগত অবস্থানের পাশাপাশি আন্দোলন, সাহসী ভূমিকা, নারীদের অংশগ্রহণ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতাও বড় প্রভাব ফেলবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে