শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:০৫, ২৩ জুন ২০২৫
সেন্ট পিটার্সবার্গে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের প্লেনারি অধিবেশনে পুতিন বলেন, ‘সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রুশ ফেডারেশনের প্রায় ২০ লাখ মানুষ বর্তমানে ইসরায়েলে বসবাস করছেন। বলা যায়, এটি প্রায় একটি রুশভাষী রাষ্ট্র। এই বাস্তবতাও আমাদের কূটনীতিতে বিবেচনায় রাখা হয়।’
একই সঙ্গে তিনি বলেন, রাশিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ মুসলিম এবং দেশটি ওআইসির পর্যবেক্ষক সদস্য। ফলে ইরানের সঙ্গেও রাশিয়ার ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, ইরানের বুশেহরে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরিতে রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলার পর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আক্রান্ত হওয়ায় রাশিয়া একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছে। আল–জাজিরার এক খবরে বলা হয়, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, "একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালানোর এই দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত, তা যে যুক্তিই দেওয়া হোক না কেন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবগুলোর লঙ্ঘন।" বিবৃতিতে মস্কো দ্রুত আগ্রাসন বন্ধ এবং রাজনৈতিক-সংলাপের পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানায়।
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে পুতিন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, "অন্যদের যুদ্ধ থামাতে নয়, আগে নিজেদের যুদ্ধ থামান।"
এই প্রেক্ষাপটে রোববার মস্কো গেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। সোমবার তাঁর রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ