শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৪, ১৪ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
শনিবার (১২ জুলাই) রাতেই স্থাপনাটির একটি বড় অংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ডিএসসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাকি অংশ রবিবার রাতেই ভেঙে ফেলা হয়েছে।
স্থাপনাটি ২০০৮ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন নির্মাণ করেছিলেন একটি বিলবোর্ডের কাঠামো হিসেবে, যাতে ডিজিটাল ডিসপ্লে যুক্ত ছিল। পরবর্তীতে সেই ডিসপ্লেটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
২০১৩ সালের গণজাগরণ মঞ্চ আন্দোলনের সময় শাহবাগের এই স্থাপনাটি ‘প্রজন্ম চত্বর’ হিসেবে পরিচিতি পায়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে দেশজুড়ে গড়ে ওঠা গণআন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল এই স্থানটি।
রবিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থাপনাটির বড় অংশই ভেঙে ফেলা হয়েছে। কংক্রিটের খণ্ড, রড ও ভাঙা অংশগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শাহবাগ মোড়ের সড়কে।
নির্মাণ হবে নতুন মনুমেন্ট: ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের স্মৃতি রক্ষায় এখানে একটি মনুমেন্ট নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্থাপনাটি ভাঙা হচ্ছে। প্রশাসক স্যারের নির্দেশে এই কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই মনুমেন্টের নকশা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় তৈরি করেছে। সারাদেশের ৬৪ জেলায় একই ধরনের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজধানীতে এই স্থানটি মনুমেন্ট নির্মাণের জন্য নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়।
নতুন মনুমেন্টটি জুলাই আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র-জনতার প্রতিবাদের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এমন এক প্রতীকী স্থান ধ্বংসের খবরে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। একদিকে যেমন স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ, অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে— আন্দোলনের ইতিহাস মুছে ফেলার আশঙ্কা নিয়েও।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এফএন/আরইউ