শিরোনাম
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:১৬, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৪০, ২১ এপ্রিল ২০২৫
অনুসন্ধানে তৎকালীন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে স্পিনার নাসুম আহমেদকে নাকি শারীরিকভাবে আঘাত করেছিলেন হাথুরু।
সে সময় চাকরি না হারালেও ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিসিবিতেও পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে। নাজমুল হাসান পাপন দীর্ঘসময় পর বোর্ড সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার জায়গায় সভাপতি হিসেবে এসেছেন সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক ফারুক আহমেদ। আর ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন কমিটি প্রথম সুযোগেই টাইগারদের প্রধান কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেন হাথুরুসিংহেকে।
৫৬ বছর বয়সি এই কোচ চাকরি হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় নিজের পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই রহস্যের কিনারা হয়নি; হাথুরুসিংহে আসলেই নাসুমকে থাপ্পড় মেরেছিলেন কি-না তার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে চাকরি হারানোর পাঁচমাস পর সাবেক দুই সহকর্মীকে পাশে পাচ্ছেন হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশের সাবেক সহকারী বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ ও সাবেক সহকারী কোচ নিক পোথাস নাসুমকে থাপ্পড় মারার ঘটনাটিকে বানোয়াট এবং রঙ চড়ানো বলে মনে করেন।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম কোড স্পোর্টকে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার ও বাংলাদেশের এক সময়ের সহকারী কোচ পোথাস বলেন, ‘আমি হাথুরুসিংহেকে খুব ভালোভাবেই জানি। সে একজন খুবই আন্তর্জাতিকমানের এবং পেশাদার কোচ। সে তার (নাসুম) সঙ্গে এমন কিছু করলে এতোটা উচ্চ পর্যায়ে এতদিন টিকতে পারতেন না।’
‘আমি মনে করি, যিনি এই অভিযোগ করেছিলেন, তার মনে সম্ভবত কোনো ক্ষোভ ছিল। আর যিনি অভিযোগটি করেছিলেন, তিনি সম্ভবত ভাবেননি যে বিষয়টা এভাবে বিস্ফোরণ ঘটাবে। কিন্তু এখন যেহেতু সেটা ঘটেছে, আমি মনে করি তিনি বুঝতেও পারেননি কী বিশৃঙ্খলা তিনি তৈরি করেছেন এবং কতটা কঠিন করে তুলেছেন হাথুরুর বাংলাদেশের পরবর্তী জীবন।’
পোথাস আরো বলেন, ‘খেলোয়াড়দের পিঠে চাপড় দেয়া সবসময়ই ঘটে। ভাষাগত সীমাবদ্ধতার কারণে হাতের সংকেতের মাধ্যমেও অনেক সময়ই যোগাযোগ করতে হয়।’
এদিকে, রঙ্গনা হেরাথ এই অভিযোগকে রঙ চড়ানো বলে দাবি করেন। মেলবোর্নে নিজের বাড়িতে বসে তিনি বলেন, ‘আমি সোজাসুজিই বলতে পারি এমন কিছু ঘটেনি। বিশ্বকাপের সময় অনেক ক্যামেরা তার চারপাশে ছিল। মানুষ বলতেই পারে এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু আপনার কাছে তো প্রমাণ থাকতে হবে। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি এমন কিছু ঘটেনি, কারণ আমি সেখানে ছিলাম। চড় মারা আর ধাক্কা দেয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমএইচ