শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:৩২, ২১ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম সেশনে দ্রুত বেশ কিছু উইকেট হারালেও দ্বিতীয় সেশনে দারুণ প্রতিরোধে ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। শন উইলিয়ামসের ব্যাটে ভর করেই লিড নেয় তারা। এই সেশনে শুরুতে মাধেভেরেকে (২৪) ফিরিয়ে উইলিয়ামসের সঙ্গে তার ৪৮ রানের জুটি ভেঙেছেন খালেদ। কিন্তু শন (৫৯) প্রান্ত আগলে জিম্বাবুয়েকে লিডের পথে তুলে বিদায় নিয়েছেন। তার পর নিয়াশা মায়াভো ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ব্যাটে ২২ রানের লিড নিয়ে চায়ের বিরতিতে গেছে সফরকারী দল।
এই সেশনটা নিজেদের করে নিতে ৮০ রান যোগ করেছে জিম্বাবুয়ে। শন উইলিয়ামস থাকলে লিডের চেহারা আরও ভদ্রস্থ হতো।প্রান্ত আগলে জিম্বাবুয়েকে লিডের পথে তুলেছেন শন উইলিয়ামস। দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে হতাশ করছিলেন তিনি। সেই উইলিয়ামস দলের ২ রানের লিডের পর থেমেছেন ৫৯ রানে। মূলত মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মেরে খেলতে গিয়ে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে তালুবন্দি হয়েছেন জিম্বাবুয়ে ব্যাটার। উইলিয়ামসের ১০৮ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ২টি ছয়।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশ দাপট দেখালেও দ্বিতীয় সেশনে প্রতিরোধ গড়েছিলেন শন উইলিয়ামস ও ওয়েসলি মাধেভেরে। পঞ্চম উইকেটে তাদের ৪৮ রানের জুটিতে লিড নেওয়ার কাছে চলে আসে সফরকারীরা। এই জুটি ভেঙেছেন খালেদ আহমেদ। শর্ট লেংথের ডেলিভারিতে মাধেভেরেকে খেলতে বাধ্য করেছেন। কিন্তু বাউন্স করা বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি জিম্বাবুয়ে ব্যাটার। ব্যাটের কানায় লেগে বল আঘাত করে স্টাম্পে। ফেরার আগে মাধেভেরে ৩৩ বলে ২৪ রান করেছেন।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ১৯১ রানে অলআউটের পর গতকাল উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ সূচনা পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিন সকালে ৬৯ রানের সেই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান নাহিদ রানা। ফেরান বেন কারানকে (১৮)। দ্রুত সময়ে তার আঘাতে বিদায় নেন দারুণ খেলতে থাকা ব্রায়ান বেনেটও (৫৭)। তার পর ৮৮ রানে হাসান মাহমুদ আঘাত হানলে দ্রুত সময়ে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে দলের ইনিংস মেরামতে অবদান রাখছিলেন শন উইলিয়ামস ও অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। লাঞ্চের আগে অধিনায়ক আরভিনকে ফিরিয়ে সেই প্রতিরোধও ভেঙেছেন রানা।