ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মুহররম ১৪৪৭

বেনাপোল-পেট্রাপোলে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে দুদেশের বানিজ্য বৈঠক

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০:০৭, ২০ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ২০:১১, ২০ জুলাই ২০২৫

বেনাপোল-পেট্রাপোলে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে দুদেশের বানিজ্য বৈঠক

ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের জিরো পয়েন্টে দুদেশের বানিজ্যিক প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রয়োজনীয় বৈঠক ১১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এ বৈঠকে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সহজেই সমাধান হত। দীর্ঘদিন বৈঠক বন্ধ থাকায় আমদানি-রপ্তানি বানিজ্যে দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা।

বৈষম্যবিরোধী গণ আন্দোলনের জেরে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকেই দুদেশের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়ন সৃষ্টি হয়। বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরের মাঝখানে জিরো পয়েন্ট। এখানেই দুদেশের আমদানী-রপ্তানী সংক্রান্ত ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের মধ্যে প্রয়োজনীয় আলোচনা বা বৈঠক হত। এতে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সহজেই সমাধান হত। কিন্তু এ ধরনের আলোচনা বন্ধ রয়েছে সেই আগস্ট থেকেই। ফলে বাধ্য হয়ে হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে সেই আলোচনা করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। 

আমদানী-রপ্তানী বানিজ্যের গতি ত্বরান্বিত করতে আগে উভয় দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রয়োজনে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরে যাকায়াতের সুযোগ পেত। কিন্তু বর্তমানে তা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সংকট আরো প্রকট হয়েছে। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের দাবি আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য সহজিকরণ এবং জটিলতা নিরসনের বৈঠক হওয়া জরুরী। এদিকে উভয় বন্দরের পণ্যবাহি ট্রাকগুলো খালি করতে বকশিসের নামে হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে। বেনাপোল বন্দরে সম্প্রতি বাণিজ্য অনেক কমে গেছে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের জটিলতা নিরসনে দুদেশের মধ্যে বৈঠক দীর্ঘ কয়েক মাস বন্ধ থাকায় সংকট দিন দিন বাড়ছে। দ্রুত বৈঠক করা প্রয়োজন।

বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বছরে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি এবং বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার পণ্য ভারতে রফতানি হয়। বিশাল বাণিজ্য সচল রাখতে মাসিক বৈঠক চালু রাখা জরুরি।

বেনাপোল স্থল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) শামিম হোসেন বলেন, ভারতের পেট্রাপোল স্থল বন্দরের মধ্যে ব্যবসা বানিজ্য সহজিকরণ এবং যে কোন জটিলতা নিরসনের ক্ষেত্রে দুদেশের বানিজ্যিক প্রতিনিধি দলের বৈঠক করার রেওয়াজ আছে। দুই বন্দরের পরিচালক পর্যায়ে যোগাযোগ আছে। তবে প্রতিনিধি পর্যায়ে গত বছরের আগস্টের পর কোন আলোচনা বা বৈঠক হয়নি।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে

আরও পড়ুন