শিরোনাম
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২:০১, ২৭ জুলাই ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে শুক্রবার (২৬ জুলাই) স্থানীয় সময় দুপুরে। নিহত রুমনের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ইশানচন্দ্র গ্রামে।
রুমনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভায়রা ও সহকর্মী ওবায়দুল হক, যিনি একই ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ছিলেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৯ বছর আগে খালাতো বোন পান্না আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে রুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের চার মাস পরই জীবিকার তাগিদে তিনি ওমানে পাড়ি জমান। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর অবস্থান শ্বশুরবাড়িতে হওয়ায় তাদের মধ্যে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয় এবং বিভিন্ন সময় পারস্পরিক কলহ ও সন্দেহ দেখা দেয়।
রুমনের স্ত্রী পান্না আক্তার জানান, ঘটনার দিন লাইভ ভিডিও কলে দুজনের মধ্যে তর্ক হয়। একপর্যায়ে তিনি দেখতে পান রুমন গলায় ফাঁস নিচ্ছেন। তাৎক্ষণিকভাবে কলটি কেটে বিষয়টি একই ফ্যাক্টরিতে কাজ করা আত্মীয় ওবায়দুল হককে জানান। পরে তিনিই রুমনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
তবে পান্না আক্তার পরকীয়ার অভিযোগ ও তার জেরে আত্মহত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে, রুমনের মা অভিযোগ করেন, আমি শখ করে বোনের মেয়েকে ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কখনো আমাদের সঙ্গে থাকেনি। পরে লোকজনের মুখে শুনি আমার ছেলের স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়েছে। যদি সেই কারণেই আমার ছেলে আত্মহত্যা করে থাকে, তাহলে আমি এর বিচার চাই।
রুমনের ভাই আবদুল মমিনও অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই প্রবাসে থাকার সময় ভাবী স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আমরা তখন রাজনৈতিক চাপের কারণে মুখ খুলতে পারিনি।
রুমনের মরদেহ ওমান কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় মরদেহ দেশে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পরিবার।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে