শিরোনাম
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩:৪৭, ১০ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৬:১৮, ১০ আগস্ট ২০২৫
এস এম সুলতানের পরিবার, ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর অসুস্থ অবস্থায় তিনি যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ‘মাটি ও মানুষের চিত্রশিল্পী’ হিসেবে পরিচিত সুলতানকে নড়াইল শহরের কুড়িগ্রাম এলাকায় সংগ্রহশালা চত্বরে সমাহিত করা হয়।
শিল্পকর্মে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৮৪ সালে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তিনি পেয়েছেন নানা সম্মান—ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টারের ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকার ‘ম্যান অব এশিয়া’।
চিত্রা নদীর তীর থেকে উঠে আসা সুলতানের তুলিতে দারিদ্রপীড়িত ও শ্রমজীবী মানুষ নতুন মর্যাদা পেয়েছে। তিনি তাদের পেশিবহুল, দৃঢ় এবং আত্মমর্যাদাবান রূপে উপস্থাপন করেছেন। শিল্পের পাশাপাশি বাঁশি বাজানোয় ছিলেন পটু, পুষতেন সাপ, বেজি, বিড়াল সহ নানা প্রাণী।
তার মৃত্যুর পর গড়ে ওঠে সুলতান স্মৃতিসংগ্রহশালা, শিশুস্বর্গ, কলেজ সহ নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্প। প্রকৃতিঘেরা সংগ্রহশালা চত্বর ও চিত্রা নদীর পাড়ে ভাসমান শিশুস্বর্গের নৌকাটি এখন দর্শনার্থীদের জন্য বড় আকর্ষণ।
জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি শারমিন আক্তার জাহান জানান, সুলতানের জন্মদিন উপলক্ষে আজ পবিত্র কোরআন খতম, কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি, দোয়া মাহফিল সহ নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে