শিরোনাম
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১:০৫, ১০ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ২১:০৮, ১০ আগস্ট ২০২৫
বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাথে অন্য বিভাগকে একীভূত করার প্রতিবাদে রাবি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্যারিস রোডে অবস্থান
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রস্তাবিত এই একীভূতকরণ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্বতন্ত্র মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করবে এবং উচ্চশিক্ষার মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাদের দাবি—রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সঙ্গে লোকপ্রশাসন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগকে একত্র করার চেষ্টা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, কারণ এই তিনটি বিষয়ের লক্ষ্য, পাঠ্যক্রম ও গবেষণার ক্ষেত্র ভিন্ন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান নীতি প্রণয়ন ও বিশ্লেষণে, লোকপ্রশাসন নীতি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনায় এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বৈশ্বিক কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্ব দেয়।
শুধু রাষ্ট্রবিজ্ঞান নয়, অর্থনীতির সঙ্গে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম এবং বাংলার সঙ্গে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ একীভূত করার প্রস্তাবও এসেছে বলে জানা গেছে।
প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে রাবির শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানান—
১. রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগকে স্বতন্ত্র সত্তা হিসেবে রাখার নিশ্চয়তা।
২. বাইরের কোনো বিভাগের অযাচিত হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ।
৩. পিএসসির পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানানো যে, এ ধরনের একীভূতকরণের কোনো পরিকল্পনা নেই।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মাহিন হাসান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি পিএসসি এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে চায়, আমরা সারাদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনে নামব। অন্যদিকে শিক্ষার্থী নাফিজ আহমদ অভিযোগ করেন, পিএসসির বর্তমান চেয়ারম্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক হওয়ায় এতে স্বজনপ্রীতির প্রভাব থাকতে পারে।
একই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ চলছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, একীভূতকরণ হলে তা পারস্পরিক হওয়া উচিত, যাতে কোনো বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তাদের মতে, বিষয়টি কেবল একটি বিভাগের অস্তিত্ব নয়; বরং উচ্চশিক্ষা নীতি, প্রশাসনিক স্বাতন্ত্র্য এবং হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দীর্ঘ ঐতিহ্য ও গুরুত্ব রক্ষার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার মান এবং দেশের নেতৃত্ব গঠনের প্রক্রিয়া সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে