শিরোনাম
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১:২০, ১০ আগস্ট ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
রবিবার রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আধাঘণ্টার বক্তব্যে তিনি নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব এবং রাষ্ট্র পুনর্গঠনের আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার বিষয়টি তুলে ধরেন।
তারেক রহমান বলেন, আড়াই বছর আগে আমরা রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ঘোষণা করেছিলাম। বর্তমানে রাষ্ট্র সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে, যা বিএনপির আগের দাবির প্রতিফলন। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ জনগণের আস্থা অর্জনের পাশাপাশি ৩১ দফার পূর্ণ বাস্তবায়ন। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পারলে দেশ পিছিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, স্বৈরাচার বিতাড়িত হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মূল আন্দোলন ছিল রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীরে ধীরে সেই অধিকার বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে এই অধিকার পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা পাবে। তবে শুধু ভোট হলেই হবে না, সরকার গঠন করলেই হবে না—দেশের অধিকাংশ জনগণ বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চায়, তাই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ জনগণের সমর্থন পাবে।
তিনি অভিযোগ করেন, বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সব সেক্টর ধ্বংস করেছে—কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করে মানুষকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা, আইন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা ও অর্থনীতিও ধ্বংস করা হয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নতুন কলকারখানা নির্মাণ জরুরি।
রাজশাহীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত এ অঞ্চল ফারাক্কার কারণে পানি হারিয়ে মরুময় হয়ে পড়েছে, যার প্রভাব কৃষিতে পড়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য খাল খননের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শিক্ষা খাতে উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগ এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। প্রাথমিক পর্যায় থেকে কলেজ পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। যুবসমাজকে দক্ষ করে তুলতে হবে, যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি হচ্ছে দলের ঘাঁটি। এখানে সব নেতৃবৃন্দ একত্রিত আছেন। সব দ্বন্দ্ব ভুলে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী করতে হবে, যাতে সংসদ গঠন করা যায়। এজন্য ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি সবাইকে নিয়ে সুন্দরভাবে কাউন্সিল সম্পন্ন করার পরামর্শ দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন। বক্তব্য শেষে সভাপতি তাঁর বক্তব্য দেন এবং সম্মেলন শেষ হয়। পরে তারা কাউন্সিলর করার জন্য অন্যস্থানে চলে যান।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও বিএনপি রাজশাহী বিভাগের সমন্বয়কারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম; বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক রাসিক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু; বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাসিকের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল; বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত; বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন; বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আমিন এবং ওবায়দুর রহমান চন্দন।
আরো উপস্থিত ছিলেন—বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ; বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল; রাজশাহী মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা; সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ মামুন; যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকার, ওয়ালিউল হক রানা, শফিকুল ইসলাম শাফিক, জয়নুল আবেদিন শিবলী, বজলুল হক মন্টু; কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবা হাবিবা; রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ সুইট; রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন; সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি; সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি; মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি।
এ ছাড়াও মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি; মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন; জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রুমেনা ইসলাম; রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি ও সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সৌরভসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও পৌরসভার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে