শিরোনাম
নেত্রকোণা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:৩১, ২২ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ২১:০১, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সর্দার অন্তরা হিজড়া । ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
তার পিছু পিছু দৌড়ে থানায় গিয়ে হাজির হন শত শত হিজরা। তবে, পুলিশি হস্তক্ষেপে শান্ত হয় সবাই। ঘটনার আকষ্মিকতায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন স্থানীয়রা।
বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ধাওয়া খেয়ে থানায় আশ্রয় নেওয়া হিজরা-সর্দারের প্রকৃত নাম নয়ন মিয়া। তিনি উপজেলার দশাল গ্রামের জাফর আলীর ছেলে। লিঙ্গান্তরের সুবাদে তিনিই এখন অন্তরা হিজরা।
শিষ্যদের অভিযোগ, অন্তরা কোন হিজড়া না। মূলত সে নয়ন মিয়া, তার বৌ-বাচ্চা আছে। একটা ছেলে কলেজে পড়ে। হিজড়া না হয়ে সে কীভাবে আমাদের সর্দার হয়।
হিজড়া আংগুর মিয়া ওরফে আংগুরী বলেন, আমি কয়েকদিন আগে ইন্ডিয়া গিয়েছিলাম। এ সময় অন্তরা পুলিশ নিয়ে আমার বাড়িতে গিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও তিন আনা ওজনের দুটি কানের দুল নিয়ে এসেছে। সে আমাদের ঠকিয়ে গাড়ি বাড়ি করেছে, আমরা তার বিচার চাই। এই সময় উপস্থিত অন্য হিজড়ারাও প্রতারণার দায়ে নয়ন মিয়ার বিচার দাবী করেন।
অন্তরা হিজড়া বলেন, আমাকে এরা মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আমি থানায় এসে আশ্রয় নিয়েছি। এরা কয়েকজন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি জেলা থেকে বারহাট্টার দায়িত্ব পেয়েছি। নেত্রকোণা জেলার সর্দার লতা নায়েক আমাকে সর্দার ঘোষনা করে ৩০০টাকার স্ট্যাম্পে বারহাট্টা এরিয়া দলিল করে দিয়ে দিয়েছে। আমি ছেলে ছিলাম, লতা নায়েক আমাকে হিজড়া বানিয়ে আমার জীবনটা শেষ করেছে। এর পর আমার চলার জন্য সে বারহাট্টার দায়িত্ব লিখে দিয়েছে।
ওসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ওদের মাঝে দুইটি গ্রুপ সৃষ্ঠি হয়েছে। ওরা নিজেরা নিজেরা ঝগড়া করে ধাওয়া খেয়ে এক পক্ষ থানায় এসে আশ্রয় নিয়েছে। অন্য পক্ষটিকে আমরা থানায় প্রবেশ করতে দেইনি। আশ্রয় নেয়া পক্ষটিকে নিরাপদে তাদের এলাকায় পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করছি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ