ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা ‘সর্বাত্মক যুদ্ধে’ রূপ নিতে পারে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
Scroll
ট্রাম্পের বর্ধিত শুল্ক বন্ধ করতে দেশটির ১২ রাজ্যে মামলা
Scroll
পোপের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিতে কাতার থেকে ভ্যাটিকানে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা
Scroll
কারখানায় গ্যাস সরবরাহে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব
Scroll
পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি মেহেরাজ ৫ দিনের রিমান্ডে
Scroll
‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ- চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, মহাসচিব শওকত মাহমুদ
Scroll
সাবেক সংসদ সদস্য সালেহা খানম মারা গেছেন
Scroll
লাইন অব কন্ট্রোলে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি
Scroll
গাজায় নিহত আরও ৬০ ফিলিস্তিনি, মারা গেলেন একই পরিবারের ১২ সদস্য
Scroll
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পর্যটক হত্যাকাণ্ড ছিল ‘পরিকল্পিত একটি ঘটনা’: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ

স্ত্রীকে বিদেশে পাচার ও হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

যশোর প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ২০:৫৫, ২২ এপ্রিল ২০২৫

স্ত্রীকে বিদেশে পাচার ও হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

যশোরে স্ত্রীকে ভারতে পাচার করে হত্যার দায়ে স্বামী কামরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও মানবপাচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত কামরুল ইসলাম যশোর সদর উপজেলার বানিয়ারগাতি গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। ভিকটিম সালমা খাতুন একই উপজেলার বসুন্দিয়া মোল্লাপাড়ার ইশারত আলীর মেয়ে।

আদালত সূত্রে জানা যায়,২০২০ সালে সালমা ও কামরুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কামরুল তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল কামরুল ঢাকায় চাকরি করার কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন এবং এরপর থেকেই তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে ১৯ এপ্রিল সালমা পরিবারকে ফোন করে জানায়,তাকে ভারতে গুজরাটের আনন্দ জেলায় আটকে রাখা হয়েছে। ৬ মে আবার জানায়, কামরুল তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তিনি। ওই রাতেই কামরুল সালমার বাবাকে ফোন করে জানায়,সালমা বিপদে রয়েছে। এরপর কামরুল দেশে ফিরে আসে।

তদন্তে উঠে আসে, ভারতে অবস্থানকালে সালমার সঙ্গে বিরোধের জেরে কামরুল তাকে হামান-দিস্তায় আঘাত করে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং মরদেহ ঘরে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে আসে।

পরে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন সালমার বাবা শহিদুল ইসলাম। তদন্ত শেষে এসআই অমিত কুমার দাস ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত মঙ্গলবার এ রায় দেন।

 

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ 

আরও পড়ুন