শিরোনাম
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩:৪৬, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
সিদ্ধান্তের খবর পেয়ে অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৩৪ ঘণ্টা অনশনের পর তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। অনশনের সময় দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লেও স্যালাইন নিয়ে অনশনে অবিচল ছিলেন।
চবি চারুকলার শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হাসান সোহেল বলেন, "সিন্ডিকেট সভায় আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত ক্লাস শুরুর আশ্বাসও পেয়েছি, তাই অনশন প্রত্যাহার করেছি।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন জানান, “সিন্ডিকেট চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমাবর্তনের পর এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগ যাত্রা শুরু করে। ২০১০ সালে শহরের সরকারি চারুকলা কলেজের সঙ্গে একীভূত হয়ে এটি ইনস্টিটিউটে রূপ নেয়। বর্তমানে এর অবস্থান শহরের মেহেদীবাগের বাদশা মিয়া সড়কে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে।
চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলেছিল এক দফা আন্দোলন। ২ ফেব্রুয়ারি ইনস্টিটিউট বন্ধ ঘোষণা করা হয়, আর ৯ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনের শততম দিনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফেরেন।
সর্বশেষ, গত বছরের ডিসেম্বরেও নতুন করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। সেই প্রেক্ষিতে চলতি বছরের মার্চের মধ্যে ইনস্টিটিউট স্থানান্তরের প্রতিশ্রুতি দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান। তবে কার্যকর অগ্রগতি না থাকায় আবারও আন্দোলনে ফেরে শিক্ষার্থীরা। অবশেষে চলমান আন্দোলনই প্রতিষ্ঠানে ফেরার পথ খুলে দেয়।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি